পরমাণু ইস্যুতে ইরানের ওপর কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যু্ক্তরাষ্ট্র। নিষাধাজ্ঞা এড়াতে ইরানকে মেনে নিতে হবে ১২ টি শর্ত।নিষেধাজ্ঞা এড়াতে না পারলে অর্থনৈতিক চাপ সামলাতে হিমশিম খাবে তেহরান।
ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, 'ইরানের বিষয়ে মার্কিন যে কৌশল রয়েছে তা পূরণে যুক্তরাষ্ট্র বদ্ধপরিকর। যুক্তরাষ্ট্র আর ইরানের সঙ্গে কোন পরমাণু চুক্তিতে নেই। ঐ অঞ্চলের শাসকদলের অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড রুখতে আমাদের মিত্রদের নিয়ে তৎপরতা অব্যাহত রাখব। সন্ত্রাসবাদে অর্থনৈতিক লেনদেন বন্ধের পাশাপাশি শান্তির জন্য হুমকি স্বরূপ পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ও অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির কর্মকাণ্ডের যত পথ আছে সব আমরা বন্ধ করে দেব।'
তেহরান নিয়ে মাইক পম্পেও'র এ হুমকির কয়েক ঘন্টার মধ্যেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে ধোঁকাবাজি আখ্যা দিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, ইরান ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার নেই। প্রত্যেকটি দেশ স্বাধীন দেশ, বিশ্ব আর কখনোই মার্কিন কর্তৃত্ব মেনে নেবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পাল্টা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
ইরানের ওপর সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞা আরোপের মার্কিন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। সোমবার এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, এটা প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থ নীতির কারণে নিজেরা কারাবন্দী হয়ে আছে এবং এর জন্য তাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে।
ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরাইল। সোমবার জেরুজালেমে প্যারাগুয়ে দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইরানকে আগ্রাসী দেশ উল্লেখ করে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বিন ইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইরান বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে অবস্থান নিয়েছে তা সব দেশের অনুসরণ করা উচিৎ।
এদিকে, পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে যাওয়ার পর করণীয় ঠিক করতে আগামী শুক্রবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে চুক্তিতে সই করা অন্য দেশগুলো। ইরানের পাশাপাশি অন্য চার বিশ্ব শক্তি যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্সের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবে জার্মানি। আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠেয় বৈঠকে অংশগ্রহণের কথা নিশ্চিত করেছে চীনের পররাষ্ট্র দফতর।
আরজেড/