নীলফামারীতে শীত উপেক্ষা করে বোরো আবাদে মাঠে নেমেছে কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আগাম ধান ফলানোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত কৃষকরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলা তৈরি হয়েছে দ্রুত। বীজ, সার, সেচের সমস্যা না থাকায় চারা লাগানো শুরু করেছেন তারা।
জেলা সদরের ইটাখোলা ও টুপামারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে বোরোর বীজতলা প্রস্তুত। ইতিমধ্যে অনেকেই জমিতে লাগানো শুরু করেছেন ধানের চারা।
এসময় ইটাখোলা ডাংগাপাড়া গ্রামের পদ্মলোচন রায় (৪৫) বলেন, এবার কোন আপদ দেখা না দেওয়ায় চারা প্রস্তুত হয়েছে দ্রুত। অনেকেই জমিতে সেচ সম্পন্ন করে শুরু করেছেন চারা লাগানোর কাজ।
তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে হাইব্রিট জাতের ধানের চারা লাগানো শেষ করেছেন গতকাল শনিবার। এ জাতের ধান আগাম লাগাতে পারায় ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।
টুপামারী ইউনিয়নের দোগাছী গ্রামের কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক (৫০) এবারে বোরো আবাদ করবেন পাঁচ বিঘা জমিতে। সময়ের মধ্যে বীজতলা তৈরি হওয়ায় গতকাল শুরু করেছেন চারা রোপণের কাজ।
তিনি বলেন,‘দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে চারা লাগোনোর কাজ শেষ হবে আমার। এরপর বাকি থাকবে সেচসহ অন্যান্য পরিচর্যার কাজ। সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করতে পারায় ভালো লাগছে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলনও ভালো পাবো।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, জেলায় এবার ৮১ হাজার ৬১৩ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ১৫ দিন ধরে জমিতে চারা লাগাতে শুরু করেছে কৃষক। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার আগাম শুরু হয়েছে চারা লাগানোর কাজ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম আযাদ জানান বলেন,‘জেলয় গত শনিবার প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো চারা লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাত ৪৯২ হেক্টর এবং উপশি ৩০২ হেক্টর রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বীজতলা সবল আছে, সবল চারা থেকে আমরা অবশ্যই ভালো ফলন আশা করবো। সেচ, সারের কোন সংকট নেই। অন্যান্য বারের তুলনায় এবারে ভালো ফলনের আশা করছি। তথ্য-বাসস
আজকের বাজার/এমএইচ