নীলফামারীতে আরও একজন করোনা শনাক্ত, ১৪ বাড়ি লকডাউন

নীলফামারীতে আরও একজনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ওই কিশোরের (১৭) করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসলে, ভাইরাসের বিস্তার রোধে তাকে আইসোলেশনে নেয় স্থানীয় প্রশাসন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে।

সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, ওই কিশোর নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের বাসিন্দা। সে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকার গাজীপুরে একটি বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ নেয়। গত ৬ এপ্রিল গাজীপুর থেকে নিজ এলাকায় ফিরে আসার পর তার জ্বর, কাশি দেখা দেয়।

পরে স্বাস্থ্য বিভাগ গত ৯ এপ্রিল সন্দেহজনক ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে রিপোর্ট আসলে ১১ জনের মধ্যে শুধুমাত্র ওই ছাত্র করোনা আক্রান্ত বলে জানা যায়।

বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে জানানো হলে অ্যাম্বুলেন্স যোগে ওই কিশোরকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে নেয়া হয়।

এদিকে ওই গ্রামের ১৪টি বাড়ি লকডাউন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়।

এর আগে গত ৭ এপ্রিল নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢাকা থেকে আসা একজন চিকিৎসকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়লে হাসপাতালটি অবরুদ্ধ করা হয়। এছাড়া, গত ৯ এপ্রিল নারায়ানগঞ্জ থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে আসার পর এক শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।

প্রসঙ্গত, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে। এছাড়া দেশে এ পর্যন্ত মোট ৪৮২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার।