নুসরাত হত্যার বিচার সরকারের জন্য অগ্নিপরীক্ষা: টিআইবি

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সরকারের জন্য অগ্নিপরীক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারনেশনাল বাংলাদেশের পরিচালক ইফতেখার আহমেদ।

রোববার সকাল ১১টায় টিএসসিতে অনুষ্ঠিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

ইফতেখার আহমেদ বলেন, আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাংশ মানসিক বৈকল্যের কাছে ভুগছে বলে আমি মনে করছি। তারা দুর্নীতিগ্রস্থ, তারা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত, তারা ব্যাপকভাবে অন্যায়ের সাথে জড়িত। নুসরাতের ঘটনা সরকারের জন্য অগ্নিপরীক্ষা।

নুসরাতের প্রতি যে অন্যায় অবিচার হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের ৪৮ বছরে এসে আমরা তা স্বপ্নেও ভাবতে পারি না। অপরাধের ঊর্ধ্বগতিতে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। সত্যিকার অর্থে কোন অপরাধেরই বিচার হয়নি।

তিনি আরও বলেন, নুসরাতকে সরাসরি যারা হত্যা করেছে শুধু তারাই এর সাথে জড়িত নয়। এর সাথে জড়িত স্থানীয় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সামাজিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ। লক্ষ্য করলে দেখ যায় যেখানেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে সেখানে একটি সিন্ডিকেটের তৈরি হয়।

আমরা দাবি জানাচ্ছি নুসরাত হত্যার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং এর কোন বিকল্প নেই।

টিআইবির পরিচালক বলেন, আমি এখন আপনাদের যে কথাগুলো বলছি তা খোলামেলাভাবেই বলতে পারি, এরমধ্যে কিন্তু কোনো আস্থা নেই যে আমাদের এই দাবি সত্যিকার অর্থে পূরণ হবে। কারণ আমরা বিচারকদের কাছ থেকে শুনেছি বিচারের উপর তাদের নিজেরই আস্থা নেই। তা সত্ত্বেও আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের দাবি অব্যাহত রাখব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শুভ্র বিশ্বাস বলেন, নুসরাতকে পরীক্ষার দিনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেক হত্যা কান্ড দেখেছি কিন্তু এমন মধ্যযুগীয় হত্যাকাণ্ড দেখিনি। আমরা সবাই এগিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই শুধু নুসরাত নয়, সকল নারীদের নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত হয়।

সাথী বলেন, এই রকম ঘটনা বার বার হচ্ছে। কিন্তু আমরা এর কোন সমাধান পাচ্ছি না। এবার চাচ্ছি নুসরাত যেন এর রুল মডেল হয়ে থাকে। অন্য উন্নত দেশে যে রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয় বাংলাদেশে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

টিআইবির পরিচালক ইফতেখার আহমেদ ছাড়াও মানবন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক ড.সুমাইয়া আক্তার, পরিচালক কমিনিউকেশন শেখ মঞ্জুরুল ইসলামসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজকের বাজার/এমএইচ