নেইমারের পেনাল্টিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিলের জয়

তারকা ফরোয়ার্ড নেইমারের পেনাল্টিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইকুয়েডরকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে ব্রাজিল।
এর আগে ৬৪ মিনিটে রিচারলিসনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সেলেসাওরা। ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে নেইমার ব্যবধান দ্বিগুন করার পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিট আগে ইকুয়েডরের এরিয়াতে মিডফিল্ডার এ্যাঞ্জেলো প্রিকেইডোর সাথে সংঘর্ষ হওয়ায় গাব্রিয়েল জেসুসের বিপক্ষে ফ্রি-কিকে নির্দেশ দেন রেফারী এ্যালেক্সিস হেরেরা। কিন্তু চার মিনিট ধরে ভিএআর প্রযুক্তি পুরো ঘটনাটি পর্যবেক্ষন করে ব্রাজিলকে পেনাল্টি উপহার দেয়। নেইমারের দূর্বল শটটি ইকুয়েডর গোলরক্ষক আলেক্সান্দার ডোমিনগুয়েজ সহজেই রুখে দেন। সাথে সাথে আক্রমনে যায় ইকুয়েডর। কিন্তু রেফারি হেরেরা বাঁশি বাজিয়ে পেনাল্টি শটটি পুনরায় নেবার নির্দেশ দেন। ডোমিনগুয়েজ তার লাইন থেকে বেরিয়ে এসেছিল বলে শটটি আবারো নেবার জন্য ব্রাজিলকে আহবান জানানো হয়। এবার আর কোন ভুল করেননি নেইমার। ডোমিনগুয়েজকে উল্টোদিকে পাঠিয়ে প্রথম ভুলটি সংশোধন করেছেন পিএসজির এই তারকা ফরোয়ার্ড।
এ পর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্বে পাঁচ ম্যাচে শতভাগ জয় নিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ পয়েন্টসহ টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। চার পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অপরাজিত থাকা আর্জেন্টিনা। দুই পয়েন্ট পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইকুয়েডর।
প্রত্যাশিত ভাবেই কালকের ম্যাচে প্রথম ভাগে ৭৬ শতাংশ পজিশন ছিল ব্রাজিলের দখলেই। কিন্তু প্রথম ভাল একটি সুযোগ তৈরীর জন্য তাদেরকে ২০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। নেইমারের সুইংগিং ফ্রি-কিক থেকে রিচারলিসন অল্পের জন্য বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন। মিনিটখানেক পরেই রিচারলিসনের সহায়তায় গাব্রিয়েল ডোমিনগুয়েজকে পরাস্ত করতে পারেননি। ইকুয়েডর তাদের স্বাভাবিক শারিরীক ফিটনেস দিয়ে ব্রাজিলকে রুখে দিচ্ছিল। কিন্তু গত তিন ম্যাচে তাদের করা ১৩ গোলের সেই আক্রমনাত্মক মেজাজ কাল একেবারেই চোখে পড়েনি। বিশেষ করে ইকুয়েডরের পেশীশক্তির কাছে বারবার নতি স্বীকার করতে হয়েছে নেইমারকে। বিরতির ঠিক আগে এগিয়ো যাবার সুযোগ পেয়েছিল তিতের শিষ্যরা। কিন্তু ডানিলোর রাইট-উইং ক্রস থেকে গাবিয়েলের প্রচেষ্টাটি অল্পের জন্য অফসাইডের কারনে বাতিল হয়ে যায়। এর পরপরই নেইমারের একটি দুর পাল্লার শট কোনমতে রক্ষা করেন ডোমিনগুয়েজ।
৫৮ মিনিটে ফুল-ব্যাক প্রিকেইডো ইকুয়েডরকে কোন সুখবর দিতে পারেননি। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে ফ্রেডের পরিবর্তে জেসুসকে নামান ব্রাজিলিয়ান কোচ তিতে। ২০১৮ সালের পর সেসেসাওদের হয়ে এই প্রথম মাঠে নেমেছিলেন জেসুস। আর এই পরিবর্তনের সাথে সাথেই সফল হয় ব্রাজিল। পোস্টের খুব কাছে থেকে ডোমিনগুয়েজকে পরাস্ত করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন রিচারলিসন। কাউন্টার এ্যাটাক থেকে রিচারলিসনের ক্রসে গাবিয়েল অল্পের জন্য গোল করতে ব্যর্থ হন। কিন্তু ম্যাচের শেষে সত্যিকার নাটকীয়তার জন্ম দেয় ভিএআর। আরো এর মাধ্যমে আরো একবার খবরের হেডলাইন হলো এই প্রযুক্তি।
আগামী মঙ্গলবার ব্রাজিল প্যারাগুয়ে সফরে যাবে ও পেরুকে আতিথেয়তা দিবে ইকুয়েডর। এর পরপরই ১৩ জুন থেকে ব্রাজিলে শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা।