নোয়াখালীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৭ জনে

জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএন্ডএফপিও) এবং কবিরহাট উপজেলার মধ্য সুন্দলপুর কমিউনিটি ক্লিনিক এর একজন কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক প্রোভাইডর (সিএইচসিপি) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৭ জনে। এরমধ্যে, জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৮জন, সোনাইমুড়ীতে ৩জন, সদরে ২জন, কবিরহাটে ২জন, হাতিয়ায় ১জন ও সেনবাগে ১জন। এদিকে সোনাইমুড়ীতে এক ইতালি প্রবাসী ও সেনবাগে এক রাজমিস্ত্রিসহ ২ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর তাদের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ এসেছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান বলেন, গত ২৮ এপ্রিল সোনাইমুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এর নমুনা পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছিল। গতকাল রাতে তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। তিনি বর্তমানে ঢাকার উত্তরার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, গত ২৭ এপ্রিল কবিরহাট উপজেলার সোন্দলপুর ইউনিয়নের সবিরপাইক গ্রামের বাসিন্দা ও মধ্য সোন্দলপুর কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক প্রোভাইডর (৩৩) এর নমুনা সংগ্রহ করে পরদিন পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়েছিল। গতকাল রাতে তার করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসে। তাকে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে এবং পরিবারের ৫জন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তার সংস্পর্শে আসা পরিবার এবং অন্যান্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। কবিরহাট উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাজিয়া পারভীন জানান, আজ সকালে তার বাড়ি এবং সংলগ্ন ৫টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে এবং তার বাড়ির সামনে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান