নোয়াখালীতে র‌্যাবের সহযোগিতায় আছিয়া পেল আপন ঠিকানা

নোয়াখালির সদর উপজেলায় ১৪ বছর বয়সে হারিয়ে যাওয়া আছিয়া খাতুন (৩৬) র‌্যাবের সহযোগিতায় ২২ বছর পর খুঁজে পেল আপন ঠিকানা।

সোমবার রাত ১২ টার দিকে র‌্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন আছিয়া খাতুনকে তার ভাই মো. শহীদ উল্ল­াহর হাতে তুলে দেন। আছিয়া খাতুন নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের কালাচানপুর গ্রামের মৃত মো. ওমর আলীর মেয়ে।

হারিয়ে যাওয়া আছিয়া খাতুনের ভাই মো. শহীদ উল্ল­াহ বলেন, ২০০০ সালে আমার বোন ফুফুর বাসা থেকে হারিয়ে যায়। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। একটা সময় ভেবেছি আমার বোন মনে হয় মারা গেছে। গত রোববার র‌্যাব ১১ এর সিপিসি ৩ এর কোম্পানী কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন কাছে সুধারাম থানার জিডির কপি দেই। উনি মাত্র ২৪ ঘন্টার ভেতর প্রযুক্তির সহযোগিতায় আমার বোনকে উদ্ধার করে দেন।

আছিয়া খাতুন বলেন, আমি ২২ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিলাম । আজ র‌্যাবের সহযোগিতায় পরিবারকে খুঁজে পেয়েছি। আমার অনেক খুশী লাগছে। র‌্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, অভিযোগের আলোকে প্রযুক্তির মাধ্যমে সোমবার রাত ১১ টার দিকে সুধারাম মডেল থানার সোনাপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করি। এরপর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।

তিনি আরও বলেন, লোকমুখে শুনেছি তাদের বোন মারা যেতে পারে, অথবা কোনো মানবপাচার চক্র নিয়ে যেতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়ে মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এরপর ভাই মো. শহীদ উল্লা­হসহ আছিয়াকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুধারাম মডেল থানায় প্রেরণ করা হয়। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান