নৌকা ডুবে কমপক্ষে ১২ রোহিঙ্গার মৃত্যু

মায়ানমারের আরাকান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার সময় রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে। গতকাল ৮ অক্টোবর রোববার রাতে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৯ অক্টোবর সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১০ জনের মৃতদেহ। এখনো ১০-১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।

মায়ানমারে সহিংসতার কারণে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে আসার সময় বাংলাদেশের উপকূলে নৌকাটি ডুবে যায় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

টেকনাফ থানার ওসি মাইনুদ্দিন খান জানিয়েছেন, রোববার রাতে নাফ নদীর মিয়ানমার অংশে নাইক্ষ্যংদিয়া নামের চরে ম্যানগ্রোভ ফরেস্টে লোকজন এসে জমায়েত হয়। তাদের মধ্য থেকে ৪৫/৪০ জনের একটি দল গতকাল ১৫/১৬ জনের ধারণ ক্ষমতার নৌকায় করে রওনা হয় বলে বিবিসি সূত্রে জানা গেছে।

কিন্তু ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত চালু থাকায় সাগর ছিল উত্তাল। অতিরিক্ত যাত্রী বহনকারী নৌকাটি বাংলাদেশের শাহপরী দ্বীপে আসার সময় গোলার চরের কাছে রাত সাড়ে নটায় দিকে নাফ নদী ও সাগরের মোহনায় ডুবে যায়। নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে বিজিবির সদস্যরা।

নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩৫/৪০জন আরোহী ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। এখনো ১০/১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে।

এর আগেও গত ২৮ সেপ্টেম্বর উখিয়ার ইনানি বিচ এলাকায় একশোর মত রোহিঙ্গাকে বহনকারী নৌকা ডুবে ২৩ জন প্রাণ হারান। গত আগস্ট মাসের শেষদিকে মায়ানমারে সহিংসতার পর থেকে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার সময় এ নিয়ে ২৫টির মত নৌকাডুবির ঘটনায় ১৪৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বার্মিজ সেনাবাহিনীর অভিযানের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৯ অক্টোবর ২০১৭