নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর: ইরফান সেলিমের আরেক সহযোগী গ্রেপ্তার

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইরফান সেলিমের অপর এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

মঙ্গলবার ভোর রাতে টাঙ্গাইল জেলা থেকে এবি সিদ্দিক (৪৫) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (মিডিয়া) উপ কমিশনার ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্দিককে টাঙ্গাইল থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।

এদিকে, সিদ্দিককে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভুক্ত চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হলো।

ঢাকা-৭ আসনের সংসদ্য সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ গ্রেপ্তার হওয়া অপর দুজন হলের ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদ ও মিজানুর রহমান।

নৌবাহিনীতে কর্মরত লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় রবিবার রাতে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনাম কয়েকজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, রবিবার রাতে পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর নীলখেত থেকে কিছু বই কিনে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে নিজেদের মোহাম্মাদপুরের বাসায় ফিরছিলেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। পথে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতারের কাছে একটি প্রাইভেট কার তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পরবর্তীতে প্রাইভেট কার থেকে কয়েকজন বেড়িয়ে এসে নৌ-কর্মকর্তা ওয়াসিফকে মারধর করে এবং তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকে।

এ ঘটানার পরের দিন দুপুরে রাজাধারীর পুরান ঢাকার সোয়ারিঘটা এলাকার দেবদাস লেনে অবস্থিত বাবার (হাজী সেলিম) বাসা থেকে ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

পরবর্তীতে ওই বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে রাখা বিপুল সংখ্যক ওয়াকিটকি ও বিদেশি মদ উদ্ধার পাওয়া যাওয়ায় ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী জাহিদকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।