ন্যাশনাল টিতে মালিকানা বাড়াচ্ছে সরকার

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেড (এনটিসি) মালিকানা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সাথে কোম্পানির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। আজ সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) কোম্পানির পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কোম্পানি সূত্র মতে, কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ২৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হবে। অন্যদিকে পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে করা হবে ৩০ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

সূত্র অনুসারে, প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে নতুন শেয়ার ইস্যু করে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বরাদ্দ করে পরিশোধিত মূলধন বাড়াবে ন্যাশনাল টি। নতুন শেয়ার ইস্যুর পর বাংলাদেশ সরকার, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং সাধারণ বীমার শেয়ারের সংখ্যা দাঁড়াবে মোট শেয়ারের ৫১ শতাংশ। আর বিদ্যমান পরিচালক ও অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারের মধ্যে ৪৯ শতাংশ শেয়ার আনুপাতিক হারে বন্টন করা হবে।

আনুপাতিক হারে বন্টনের কারণে যদি কোনো শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের প্রস্তাবিত ইস্যু পরবর্তী শেয়ার ধারণের হার ২ শতাংশের নিচে নেমে যায়, তাহলে বিএইসি কর্তৃক শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের ন্যুনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশনা পরিপালনের লক্ষ্যে ওই পরিচালকর ন্যুনতম শেয়ার ধারণের হার ২ শতাংশ হোয়ার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু শেয়ার অতিরিক্ত আকারে তাকে বন্টন করা হবে।

নতুন শেয়ার গত ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা নিট সম্পদ মূল্য, শেয়ারের অভিহিত মূল্য, বিগত ৫ বছরের আয়ের গড় ও শেয়ারের গত ১২ মাসের গড় বাজার মূল্যের উপর ৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে ইস্যু করা হবে।

যদি কোনো শেয়ারহোল্ডার প্রস্তাবিত ইস্যুকৃত শেয়ার গ্রহণ করতে অসম্মত হয় বা Un-subscribed থাকে তাহলে উক্ত Un-subscribed শেয়ার বিদ্যমান পরিচালকবৃন্দ আনুপাতিক হারে নির্ধারিত মূল্যে গ্রহণ করতে বা subscribe করতে পারবেন। এরপরও যদি Un-subscribed থাকে, তাহলে বিদ্যমান আগ্রহী অন্যান্য শেয়ারহোল্ডার আনুপাতিক হারে তা subscribe করতে পারবেন।

অনুমোদিত মূলধন বাড়ানো এবং নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতির লক্ষ্যে আগামী ২০ অক্টোবর অতিরিক্ত সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে এই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ সেপ্টেম্বর।

অতিরিক্ত সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডাররা অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর প্রস্তাবে সম্মতি দেয়, তাহলে এটি বাড়ানোর অনুমতি চেয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে আবেদন করা হবে।