পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের রাইট শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মিঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫৩তম নিয়মিত সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউলি করিম সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১০ টাকা মূল্যের ৩৬,৪৯১,৮৩৪ টি সাধারণ শেয়ার প্রতিটি ১৫ টাকা মূল্যে (শেয়ার প্রতি ৫ টাকা হারে প্রিমিয়ামসহ) রাইট শেয়ার হিসেবে ইস্যুর মাধ্যমে (১আর:১ হারে অর্থাৎ বিদ্যমান একটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে একটি সাধারণ শেয়ার রাইটস হিসেবে) মােট ৫৪৭,৩৭৭,৫১০.০০ টাকা মূলধন সংগ্রহের জন্য আবেদন করে। সেই প্রেক্ষিতে কমিশন রাইট শেয়ার ইস্যুর অনুমােদন প্রদান করে।
ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডেরউৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জমি ক্রয় ও উন্নয়ন, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানী, কার্যকরী মূলধন সংগ্রহ এবং ব্যাংক ঋন পরিশােধ এর লক্ষ্যে রাইটস শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। রাইট শেয়ার ডকুমেন্ট অনুযায়ী জুন ৩০, ২০১৯ইং তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি পুন:মূল্যায়নসহ নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) টাকা ৩৮ টাকা ৯৮ এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) টাকা ৪ টাকা ২৫ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়ােজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই- সেপ্টেম্বর) ন্যাশনাল পলিমারের ইপিএস হয়েছে ৫২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ২১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৩৯ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে ন্যাশনাল পলিমারের পর্ষদ। ২১ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ১৯ নভেম্বর। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ১২ পয়সা। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৫ টাকা ৮৭ পয়সা।
২০১৯ ও ২০১৮ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ২২ শতাংশ হারে স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ন্যাশনাল পলিমার। তার আগের দুই হিসাব বছরে ২০ শতাংশ হারে স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
১৯৯৩ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৩৫। এর ৪৩ দশমিক ১১ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪৬ দশমিক ৭ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।