নড়াইলের মানহানি মামলায় খালেদার জামিন নামঞ্জুর

ফাইল ছবি

স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে দায়েরকৃত মানহানি মামলার জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) নড়াইল সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩০ মে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিনের আবেদন করলে জামিন শুনানির জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন আদালত।

নড়াইল জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন শিকদারসহ স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে বলে মন্তব্য করেন।

এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তার এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার হয়।

মামলার বাদী নড়াইলের কালিয়ার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে এ খবরটি পড়ে ক্ষুব্ধ হন। পরে রায়হান ফারুকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলা করেন।

আদালত ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

প্রসঙ্গত, গেল পাঁচ জুন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুনানি হলেও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। পরে ২৬ জুন আবার সদরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক দুই জুলাই জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার ১৭ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

আজকের বাজার/এমএইচ