পদ্মার ইলিশ কমছে আর বাড়ছে তার দাম

ইলিশ মৌসুমের আগমনের সাথে সাথে জেলার বৃহত্তম পাইকারী ইলিশ বাজার চাঁদপুরের বড় স্টেশন মাছ ঘাটে আবারও চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। তবে বাজারের ব্যবসায়ীরা পদ্মা নদীতে ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ার ব্যাপারে হতাশ। তারা বলছেন, এই বছরের মজুদ বেশিরভাগই হাতিয়া, নোয়াখালী এবং অন্যান্য উপকূলীয় এলাকা থেকে আসছে।

মঙ্গলবার ইউএনবির প্রতিনিধি এলাকাটিতে উপস্থিত থেকে দেখেছেন হাতিয়া উপজেলা থেকে ইলিশ বহনকারী বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার এবং পিকআপ ভ্যান এসেছে বাজারে। প্রবীণ ইলিশ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বকাউল(৬৫)জানান, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। এসময় এই ঘাটে হাজার হাজার মণ ইলিশ আসার কথা, কিন্তু এবার ইলিশ খুবই কম আসছে। যে পরিমাণ ইলিশ আসছে তার বেশিরভাগ হাতিয়া থেকে, পদ্মা থেকে নয়।

ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, মঙ্গলবার প্রায় দুই হাজার মণ মাছ বাজারে এসেছে, কিন্তু সরবরাহ গত বছরের তুলনায় কম। চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি মানিক জমাদার বলেন, এই বছর পদ্মায় ইলিশের সংখ্যা কম। ফলে জেলেরা নদী থেকে কাঙ্ক্ষিত ৪০-৫০ মণ মাছ ধরতে পারছে না, যার কারণে তারা খুব হতাশ।

পদ্মা নদী থেকে মাছের সরবরাহ কম থাকায় পদ্মার ইলিশের দাম বেড়েই চলেছে। মাছ প্রতি পাইকারী দাম ১২০০ টাকা কেজি এবং খুচরা মূল্য ১৩০০-১৪০০ টাকা কেজি। অন্যদিকে হাতিয়ার মাছের ক্ষেত্রে কেজি প্রতি দাম এক হাজার টাকা। সিলেট, হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, ময়মনসিংহ এবং রাজধানীর ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর ইলিশ কিনতে এই বাজারে ভিড় করেন।

ইলিশ ধরার সর্বোচ্চ মৌসুম আগস্ট, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরের বর্ষাকালে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মতে, ইলিশের উৎপাদন ২০০৮-০৯ সালে তিন লাখ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ২০১৭-১৮ সালে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন হয়েছে। অন্যদিকে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চলতি অর্থবছরে মাছের উৎপাদন ছয় লাখ মেট্রিক টন বাড়াতে ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। খবর-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান