পদ্মাসেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত কমিশন গঠনের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা।
গত ৯ নভেম্বর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিশনের সদস্য হিসেবে একজনের নাম প্রস্তাব করে আদালতে পাঠায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কারিগরি) মো. কামরুজ্জামানের নাম কমিশনের সদস্য হিসেবে প্রস্তাব করা হয়।
পদ্মাসেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট’ অনুসারে তদন্ত কমিশন গঠনের কেনো নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং দোষীদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না- তা জানতে চেয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়াারি স্বপ্রণোদিত রুল জারি করে আদেশ দেয় আদালত।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র, আইন ও যোগাযোগ সচিব এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
পাশাপাশি এ কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কয়েক দফা সময়ের আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।
একটি জাতীয় দৈনিকে চলতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের বিচার দাবি : আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ আদেশ দেয় আদালত।
আজকের বাজার:এলকে /এলকে ১০ ডিসেম্বর ২০১৭