পবিত্র শবেবরাত আজ। ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন-মহান আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে গুনাহ মাফ, ভাগ্য নির্ধারণসহ নানা কারণে এ রাতটি বেশ গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। মুসলিম উম্মাহর কাছে ভাগ্য রজনী বলে পরিচিত এ রাতে তাই মুসলমানরা নফল ইবাদত করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিজস্ব আয়োজন ছাড়াও সারাদেশের মসজিদগুলোতে বিশেষ দোয়া করা হয়।
‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘শবে বরাত’ বলতে আরবি শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাতকে বোঝায়। বিশুদ্ধ হাদিস থেকে উদ্ধৃতির আলোকে ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন-মহান আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ ও দয়া প্রাপ্তির সুযোগের কারণে এর তাৎপর্য বেড়ে যায় মুসলিমদের কাছে।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি এহসানুল হক বলেন, বলা হয়েছে, শাবান মাসের মধ্যবর্তী সময়ে যে রাত্রিটা যখন আসে তখন ওই রাত্রিটা তোমরা জাগরণ কর। কিসের মাধ্যমে জাগরণ করবে? এবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, এই রাতে আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন প্রথম আসমানে নেমে আসেন। আর বলতে থাকেন, কে আছ ক্ষমা চাইবে? আমি ক্ষমা করে দিবো। কার রিজিকে অসুবিধা আছে? আমি তার রিজক বাড়িয়ে দিবো। কে অসুস্থ আছ? আমি তাকে সুস্থ করে দিবো। এভাবে সকাল পর্যন্ত আল্লাহ বান্দাকে ডাকতে থাকেন।
ফরজ এবাদতের পর জিকির-আসকার, তসবি-তাহলিল, কুরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ ও কবর জিয়ারত করে রাতটি অতিবাহিত করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সওয়াব হয় এমন সব কাজ করার প্রতি সবাইকে অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি পবিত্র এ রাতের মর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানান ইসলামী চিন্তাবিদদের।
হাফেজ মাওলানা মুফতি এহসানুল হক বলেন, এই রাতকে কেন্দ্র করে অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন মিছিল করা হয়, বাজি ফুটানো হয়। এগুলো ছেড়ে দিয়ে আমরা যেনো আল্লাহ’র গোলামীর মধ্য দিয়ে রাতটাকে কাটাতে পারি সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাবো।
নফল এবাদতের মাধ্যমে রাত অতিবাহিত ছাড়াও দিনে রোজা রাখেন অনেকে। তাই, রমজান মাসের প্রস্তুতির জন্যও পুরো শাবান মাসই বেশ গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম উম্মাহর কাছে।
এস/