পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের আহ্বানে জাতিসংঘ মহাসচিবের সমালোচনা করেছে উত্তর কোরিয়া

সিউল সফরকালে পিয়ংইয়ংকে সম্পূর্ণ এবং যাচাইযোগ্য পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানোর পরে উত্তর কোরিয়া রোববার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে তার ‘বিপজ্জনক কথার’ জন্য সমালোচনা করেছে।
দুদিনের সফরে দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকা গুতেরেস উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রতি তার ‘স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি’ ব্যক্ত করেছেন এবং এটিকে ‘পুরো অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আনার মৌলিক লক্ষ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
ওয়াশিংটন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বারবার সতর্ক করেছেন যে উত্তর কোরিয়া তার সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরপরেই মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তবে উত্তর কোরিয়ার ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গয়ং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী নীতির প্রতি ‘সহানুভূতি’ দেখানোর অভিযোগ করে জাতিসংঘের প্রধানকে নিন্দা করেছেন।
সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিবের বক্তব্যে নিরপেক্ষতা এবং ন্যায় বিচারের অভাব রয়েছে, এটি মেনে নিতে পারিনা , এ জন্য আমি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি।’
কিম বলেন, উত্তর কোরিয়ার ‘সম্পূর্ণ, যাচাইযোগ্য এবং অপরিবর্তনীয় পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের’ দাবী “ডিপিআরকে‘র সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন’।
তিনি বলেন, ‘আমরা মহাসচিব গুতেরেসকে আগুনে পেট্রল ঢালার মতো বিপজ্জনক কথা ও কাজ করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিই।’
বৃহস্পতিবার পিয়ংইয়ং উত্তরে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের জন্য সিউলকে দায়ী করেছে এবং সিউলের কর্তৃপক্ষকে ‘নিশ্চিহ্ন’ করার হুমকি দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ রেঞ্জে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ সহ এই বছর এ পর্যন্ত অস্ত্র পরীক্ষার রেকর্ড-সংখ্যক বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে।
গত মাসে, উত্তরের নেতা কিম জং উন বলেছেন, তার দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সিউলের সাথে ভবিষ্যতের যে কোনও সামরিক সংঘর্ষে তার পারমাণবিক প্রতিরোধকে ‘সচল করতে প্রস্তুত’।