পরিস্থিতির উন্নতি হলে খুলবে নিউমার্কেট: ব্যবসায়ী সমিতি

১০ মে থেকে সীমিত পরিসরে দেশের দোকানপাট ও শপিংমল খোলার ঘোষণা থাকলেও করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে খুলবে না উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক।

এদিকে খুলছে না বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সও।

এমন খবরের পর নিউমার্কেট খোলা থাকবে কিনা সে বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন জানিয়েছেন, নিউমার্কেটের দোকান খোলা নিয়ে আগামী ৯ মে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

বুধবার রাতে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছি। বৃহস্পতিবার কয়েকটি ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং হবে। আমরা ফোন করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও মতামত নিচ্ছি। আগামী ৯ মে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

এ বিষয়ে বুধবার রাতে নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আশরাফ বলেন, পরিবহন বন্ধ থাকাবস্থায় দোকান খুলেও কোনো লাভ হবে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যেখানে ক্রেতাই আসতে পারছেন না, সেখানে আমরা দোকান খুলে কী করব? সবচেয়ে বড় কথা– সংক্রমণ বাড়তে থাকলে দোকান খোলাও ঝুঁকিপূর্ণ। একজন দোকানি আক্রান্ত হলে এ দায়ভার কে নেবে?

তিনি বলেন, আমরা পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করছি। যদি উন্নতি হয় এবং আশপাশের মার্কেট খোলে তা হলে আমরাও খুলব।

তবে এখনও পর্যন্ত সরকারের সিদ্ধান্তকেই ফলো করছেন বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, নিউমার্কেট এলাকার পুলিশ আগামী ১০ মে থেকে মার্কেট খোলার বিষয়ে এবং গাইডলাইন দেয়ার জন্য আমাদের ডেকেছিলেন। আমরা নিউমার্কেটের পক্ষ থেকে জানিয়েছি– পরিস্থিতি যেভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে, সে বিষয় মাথায় রেখেই দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেব। আমার মতামত জীবনটা আগে, পরে লাভ-লোকসান। আমরা আমাদের নিজের, কর্মচারীর এবং ক্রেতাদের, সর্বোপরি দেশের ক্ষতি হয়—এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না।

প্রসঙ্গত গত ৪ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দোকান ও শপিংমল আগামী ১০ মে থেকে খোলা যাবে। তবে তা বিকাল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।

সেই সঙ্গে প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত সতর্কতা গ্রহণ করার কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।