পর্নগ্রাফির দর্শক হিসেবে শুধুমাত্র পুরুষদেরই দায়ি করা হতো একটা সময়। কিন্তু বর্তমানে বহু গবেষণায় দেখা গেছে, পর্নগ্রাফি দেখতে এখন নারীরাও মজেছে পুরুষের সমান কিংবা বেশি।
সাম্প্রতিক সময়ে কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষনায় উঠে এসছে নারীদের পর্নগ্রাফিতে আসক্ততা বৃদ্ধির নানা দিক। এ গবেষনায় দেখা গেছে, ক্রমেই বাড়ছে ইন্টারনেটে পর্নসাইটের নারী ক্রেতার সংখ্যা।
গবেষক ডায়না প্যারি জানিয়েছেন, নারীদের মধ্যে যৌনতা সংক্রান্ত এই সচেতনতা এবং স্বতন্ত্র চাহিদা এর আগে দেখা যায়নি। কারও সাহায্য ছাড়াই ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে সহজেই ডাউনলোড হয়ে যায় দেশ বিদেশের পর্নোগ্রাফি ভিডিও। আর সেই ‘নিষিদ্ধ নীল’ পর্দায় চোখ রেখেই নিজেদের যৌন চাহিদা বাড়িয়ে তুলছেন নারীরা।
শুধু চাহিদা বাড়িয়েই তৃপ্ত নন। সেই সঙ্গে শিখে নিচ্ছেন শয্যাসঙ্গীকে আকর্ষণ করার কৌশলও। কখনও কখনও নাতিদীর্ঘ এই মিলন মুহূর্তকে আরও উষ্ণ করে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের শিক্ষাও মিলছে এই সব পর্নোগ্রাফি থেকে।
নতুন ট্রেন্ড হলেও এই প্রবণতার পক্ষে মত পেশ করেছেন গবেষকরা। তাদের মতে, আড়ষ্টতা কাটিয়ে নারীদেরকেই এগিয়ে আসা খুবই জরুরি ছিল। রাখঢাক ছেড়ে মহিলাদের এই স্বাবলম্বী হওয়ায় খুশি গবেষক ডায়না প্যারি। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে অন্য কারও থেকে পরামর্শ চাওয়ার বদলে ইন্টারনেটের সাহায্য নেওয়া নারীদের পক্ষে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যের।
গবেষকদের মতে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের যৌন চাহিদা কম নয়। বরং কখনও কখনও বেশি। কিন্তু সামাজিক রক্ষণশীলতায় নারীরা এতদিন সেই অনুভূতিকে অবদমিত করে রাখতেন। শরীর বিদ্রোহ করলেও অপরাধ মনে করে তা দমন করতেন নারীরা। ক্রমেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। স্বাবলম্বী হয়েছে নারীদের যৌনজীবন।
আজকের বাজার/এমএইচ