নারায়ণগঞ্জের পাঁচ খুনের মামলায় একমাত্র আসামি মাহফুজকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ০৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টায় পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আদালত এ আদেশ দেন। জেলা ও দায়রা জজ বেগম হোসনে আরা আক্তারের আদালত এ আদেশ দেন।

ভাগ্নে মাহফুজকে পাঁচবার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেয়া হয়েছে তবে একবার ফাঁসি দিলেই এ আদেশ কার্যকর হয়ে যাবে।

নারায়ণগঞ্জের দেওভোগে মামীর সাথে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে ৫ খুনের প্রধান আসামি ভাগ্নে মাহফুজের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকাও জরিমানা করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি রাতে শহরের বাবুরাইল এলাকা থেকে তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ছোট ভাই মোরশেদুল (২২) ও তার জা লামিয়ার (২৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনার পরদিন ১৭ জানুয়ারি সকালে নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তার ভাগ্নে মাহফুজ, ঢাকার কলাবাগানের নাজমা ও শাহজাহানের নাম উল্লেখ করে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ওইদিন রাতেই মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন গ্রেফতার করা হয় মাহফুজ ও নাজমাকে। পরে ২১ জানুয়ারি আদালতে মাহফুজ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি ছিল অনেকটাই গাঁ শিউরে উঠার মত। মামীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে অবৈধভাবে শারীরিক মেলামেশা করতে না পারার ক্ষোভ থেকেই একে একে পাঁচজনকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে ভাগ্নে মাহফুজ।

আজকের বাজার: আরআর/ ০৭ আগস্ট ২০১৭