পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিটি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক , প্রাইম ব্যাংক ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার দর বাড়ার কোনো কারণ নেই।
সম্প্রতি কোম্পানিগুলোর অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রের তথ্য মতে
সিটি ব্যাংক:বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি মাসের ১১ তারিখে কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৪৫ টাকা ৬০ পয়সা, যা গত সোমবার লেনদেন হয় ৪৮ টাকা ৯০ পয়সায়। এ চার দিনে দর বেড়েছে তিন টাকা ৩০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার শেয়ারদর দশমিক ৮২ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৮ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৮ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ৯০৪টি শেয়ার মোট এক হাজার ৬৯৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৩ কোটি ৪০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৯ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ২২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৪৯ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটির ৮৭ কোটি ৫৭ লাখ ৯৮ হাজার ৩১টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, বিদেশি ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩৯ শতাংশ শেয়ার।
এক্সিম ব্যাংক: গত মাসের মাসের ২৩ তারিখে কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ১৩ টাকা ৫০ পয়সা, যা গতকাল লেনদেন হয় ১৭ টাকা ২০ পয়সায়। এ সময়ের মধ্যে দর বেড়েছে তিন টাকা ৭০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার শেয়ারদর দুই দশমিক ৩৮ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৭ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১৭ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে এক কোটি ৭৯ লাখ ৮৭ হাজার ৪৪৩টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৯৫০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩০ কোটি ৮৪ লাখ চার হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিস্ন ১৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৭ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর আট টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৭ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
রূপালী ব্যাংক: চলতি মাসের ১২ তারিখে কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৪৯ টাকা ৭০ পয়সা, যা গতকাল লেনদেন হয় ৭১ টাকা ৩০ পয়সায়। এ হিসাবে চার কার্যদিবসে দর বেড়েছে ২১ টাকা ৬০ পয়সা। আর এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার শেয়ারদর ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ বা ছয় টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৭২ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭১ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ২৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৩৬২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৭ কোটি ৩৩ লাখ দুই হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিন্ম ৬৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ২৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৭২ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটির ৩০ কোটি ৩৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৩টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারের কাছে ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক দুই দশমিক ৯৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ছয় দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ার।
প্রাইম ব্যাংক: চলতি মাসের ১১ তারিখে কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ২৭ টাকা ১০ পয়সা, যা গতকাল লেনদেন হয় ২৯ টাকা ৪০ পয়সায়। এ পাঁচ দিনে দর বেড়েছে দুই টাকা ৩০ পয়সা। আর এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার শেয়ারদর দুই দশমিক ৭৩ শতাংশ বা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৮ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৯ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে এক কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ৫৭৬টি শেয়ার মোট এক হাজার ১৪৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪০ কোটি ৮৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিন্ম ২৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৩০ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটির ১০২ কোটি ৯৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬১৬টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ, বিদেশি দুই দশমিক ৩০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩৫ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকঃ বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২০ আগস্ট থেকে ব্যাংকটির শেয়ার দর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এ সময়ে শেয়ারটির দর ১৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে ২৩ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত হয়।
শেয়ার দর বাড়ার কোনো কারণ নেই। শেয়ারটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চাইলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এমনটাই জানায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই)।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চেয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর, রোববার ডিএসই নোটিস পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানিটি জানায়, কোনো রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ার দর বাড়ছে।আর শেয়ারটির এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
আজকের বাজার : জাকির/এলকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭