পাঁচ মাসেই বাণিজ্য ঘাটতি ৭.৬ বিলিয়ন ডলার

আমদানি বেড়ে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই বাণিজ্য ঘাটতি ৭৬০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। রোববার ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে।

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মাস পর্যন্ত পণ্য আমদানিতে মোট দুই হাজার ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার ব্যয় করা হয়েছে। এই সময়ে বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে এক হাজার ৪৩৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এই হিসাবে সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭৬০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জুলাই-নভেম্বর সময়ে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩৮৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আর পুরো অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৯৪৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২০১০-১১ অর্থবছরে; ৯৯৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

বানিজ্য ঘাটতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ বেশ কিছু বড় প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানিতে অনেক খরচ হচ্ছে। এছাড়া বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যয় বেড়েছে। গতবছর বন্যায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় চাল আমদানি করতে হচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় রপ্তানি আয় না বাড়ায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাই-নভেম্বর সময়ে খাদ্য (চাল ও গম) আমদানি বেড়েছে ২৫৭ শতাংশ। শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বেড়েছে ৪০ শতাংশের মত। জ্বালানি তেলের আমদানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। আর শিল্পের কাঁচামালের আমদানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে ৩২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ থাকায় বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু দেখছেন না সাবেক এই গভর্নর। তিনি বলেন, আমদানি বাড়ার ইতিবাচক দিক হচ্ছে বিনিয়োগ বাড়ছে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমদানি বাড়ার মাধ্যমে তা আরো অগ্রসর হবে।

আজকের বাজার:এলকে/ ১৫ জানুয়ারি ২০১৮