ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত

পাইলট মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও বেপরোয়া ছিলো

নেপালের এক তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১২ মার্চ নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-২১১ ফ্লাইটের পাইলট আবিদ সুলতান ‘ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রচণ্ড মানসিক চাপ ও উদ্বেগের’ মধ্যে ছিলেন এবং সেসময় একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নেপাল সরকারের গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনে এসব কথা উঠে এসেছে বলে জানায় দেশটির ইংরেজি দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্ট।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার প্রস্তুতির সময় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ‘মিথ্যা’ তথ্য দেন ক্যাপ্টেন আবিদ। ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুতে যাওয়া এক ঘণ্টার ওই ফ্লাইটে তিনি ককপিটে বসেই অনবরত ধুমপান করছিলেন।

পুরো ফ্লাইটে আবিদ সুলতানের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। দুর্ঘটনা আঁচ করতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে পাইলটের লাল পতাকা দেখানো উচিৎ ছিল।

নামার ছয় মিনিট আগে আবিদ নিশ্চিত করেছিলেন, বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ার নিচে গেছে এবং লক হয়ে গেছে।

তবে ওই বিমানের সহকারী পাইলট পৃথুলা রশিদ একটি চূড়ান্ত ল্যান্ডিং চেকলিস্ট পরিচালনা করেন। এর কয়েক মিনিট পর ৬৭ যাত্রী এবং চার ক্রু সদস্যের বহনকারী বিমানটিতে আগুন লাগে।

ওই দুর্ঘটনায় চারজন ক্রুসহ মোট ৫১জন নিহত হয়।তাদের মধ্যে নেপালের ২২ জন মেডিকেল শিক্ষার্থীও নিহত হয়। মাত্র ২০ যাত্রী বেঁচে যায়।

এদিকে কাঠমান্ডু পোস্টের ওই প্রতিবেদনকে ‘কল্পিত’ ও ‘ভিত্তিহীন’ বলেছে ইউএস-বাংলা।

প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং ও জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটি এখনো কোনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। আমরা ওই প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছি।

তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এ ধরণের সংবাদ প্রকাশ করার কোনো সুযোগ নেই, যোগ করেন ওই কর্মকর্তা।

আজকের বাজার/এমএইচ