পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারালো শ্রীলংকা

এশিয়া কাপের ফাইনালের আগে ‘ড্রেস রিহার্সেল’ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে  শ্রীলংকা।
আজ সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে বোলারদের নৈপুন্যে লংকানরা ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে শ্রীলংকা-পাকিস্তান।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে শ্রীলংকা। ব্যাট হাতে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজম। তবে ২১ বলে ২৮ রান যোগ করে জওটি। । ১৪ রানে বিদায় নেন রিজওয়ান।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ফখর জামানকে নিয়ে ৩৫ বলে ৩৫ রান তুলেন বাবর। নবম ও দশম ওভারে ৫ রানের ব্যবধানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জামান ও বাবর। বাবর ২৯ বলে ৩০ ও জামান ১৩ রান করেন।
৬৮ রানে ৩ উইকেট পতনের পর চাপে পড়ে পাকিস্তান। শ্রীলংকার স্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভা-মহেশ থিকশানা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার তোপে ইনিংসের ৫ বল বাকী থাকতে ১২১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
বাবর ও জামানের পর মাত্র দুই ব্যাটার দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেন। ইফেতখার আহমেদ ১৩ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ ১৮ বলে ২৬ রান করেন। ১৯ ওভার পর্যন্ত খেলে পাকিস্তানকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন নাওয়াজ। শ্রীলংকার হাসারাঙ্গা ২১ রানে ৩টি, থিকশানা ২১ রানে-প্রামোদ মধুশান ২টি ও ধনাঞ্জয়া-করুনারতেœ ১টি করে উইকেট নেন।
১২২ রানের সহজ টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতে মহাচাপে পড়ে শ্রীলংকা। ৮ বলের ব্যবধানে মাত্র ২ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। কুশল মেন্ডিস ও দানুস্কা গুনাথিলাকা খালি হাতে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। উইকেট দু’টি ভাগাভাগি করে নেন পাকিস্তানের দুই পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন ও হারিস রউফ।
শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও ধনাঞ্জয়া। তৃতীয় উইকেটে ২৭ রানের জুটি গড়েন তারা। ৮ রান করা ধনাঞ্জয়াকে শিকার করে এই জুটি ভেঙ্গে পাকিস্তানকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন রউফ।
২৯ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর নিশাঙ্কার সাথে দলের হাল ধরেন ভানুকা রাজাপাকসে। চাপে থেকেও পাকিস্তানের বোলারদের পাল্টা আক্রমন করেন নিশাঙ্কা ও রাজাপাকসে। দু’জনের মারমুখী জুটিতে আসে ৩৯ বলে ৫১ রান। এই জুটির কল্যাণেই ম্যাচ জয়ের পথে থাকে শ্রীলংকা। ২টি ছক্কায় ১৯ বলে ২৪ রান করে আউট হন  রাজাপাকসে।
রাজাপাকসের পর ক্রিজে এসেই মারমুখী হয়ে উঠেন শ্রীলংকার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ২টি ছক্কা ও ১টি চারে ম্যাচ হাতের নাগালে নিয়ে আসেন শানাকা। তবে জয় থেকে ৯ রান দূরে থাকতে বিদায় নেন শানাকা। ১৬ বলে ২১ রান তুলেন লংকান অধিনায়ক।
অধিনায়কের বিদায়ে উইকেটে গিয়েই ম্যাচের ইতি টানেন হাসারাঙ্গা। মাত্র ৩ বল খেলে ২টি চারে ১০ রান তুলে শ্রীলংকার জয় নিশ্চিত করেন হাসারাঙ্গা।
শানাকার সাথে পঞ্চম উইকেটে ৩০ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়ার সময় টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরি করেন  নিশাঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৫৫ রান করেন নিশাঙ্কা। পাকিস্তানের হাসনাইন-রউফ ২টি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ সেরা হন শ্রীলংকার হাসারাঙ্গা।