পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয় বলেই বারবার ইতিহাস ও ঐতিহ্য উপর আঘাত আসছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিজ ভাষা ও সংস্কৃতির স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে। নিজেদের গৌরব গাথা নিজেদেরই সংরক্ষণ ও প্রচার করতে হবে। আমাদের জামদানি এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত, সিলেটের শীতল পাটও স্বীকৃত এমনকি আমাদের পহেলা বৈশাখও এখন ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত। তাই বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার সময় এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মর্চের ভাষণ ৭৫’র পর বন্ধ ছিলো। কোনভাবেই এ ভাষণ সে সময় চালাতে দেয়া হয় নি। কিন্তু এখন তা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।
এর আগে নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ২১ গুণীকে একুশে পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বছর একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে আ জ ম তকীয়ূল্লাহ (মরণোত্তর) ও অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম। সংগীতে শেখ সাদী খান, সুজেয় শ্যাম, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, খুরশীদ আলম ও মতিউল হক খান। নৃত্যে মীনু হক (মীনু বিল্লাহ)। অভিনয়ে হুমায়ুন ফরীদি (মরণোত্তর), নাটকে নিভিল সেন, চারুকলায় কালীদাস কর্মকার, আলোকচিত্রে গোলাম মুস্তাফা, সাংবাদিকতায় রণেশ মৈত্র, গবেষণায় ভাষাসৈনিক অধ্যাপক জুলেখা হক (মরণোত্তর), অর্থনীতিতে ড. মইনুল ইসলাম, সমাজসেবায় ইলিয়াস কাঞ্চন। ভাষা ও সাহিত্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম খান (কবি হায়াৎ সাইফ), সুব্রত বড়ুয়া, রবিউল হুসাইন ও খালেকদাদ চৌধুরী (মরণোত্তর)।
আরএম/