পাকিস্তানে ফল প্রকাশে বিলম্ব: ইমরানের দল এগিয়ে

পাকিস্তানে ১১তম জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণের ১২ ঘন্টা পরও ফল প্রকাশ হয়নি। ভোট গণনায় বিলম্ব ও ভোট কারচুপির অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালেও আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষনা হয়নি। ভোটগ্রহন শেষ হওয়ার পরপরই বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়ে রাতভর গণনা চললেও ফলাফল স্পষ্ট হয়নি।

তবে আংশিক ভোট গণনায় সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এগিয়ে রয়েছে তা স্পষ্ট। তবে ভোটের ফল প্রকাশে দেরি হবে বলে কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছ।

এদিকে পিটিআই দলের কর্মী ও সমর্থকরা চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষনার আগেই বিজয়োল্লাস শুরু করেছে। ইমরান খানের দলের মূখপাত্র নাইমূল হক জানিয়েছেন, পিটিআই প্রধান আজ দুপুর ২ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। ২০১৮ জাতীয় নির্বাচনে তাকে ভোট দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের জনগণকে ধন্যবাদ জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের সেক্রেটারি বাবর ইয়াকুব বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ভোট গণনায় দেরি হচ্ছে। নতুন ইলেকট্রনিক রিপোর্টিং পদ্ধতিতে ভোট গণনার কারণেই এ সমস্যা হয়েছে। ফলে এখন হাতে ভোট গণনা করা হচ্ছে।

এর আগ পর্যন্ত ৩০ শতাংশ ভোট গণনায় দেখা গেছে পিটিআই ১১৪ টি আসনে এগিয়ে আছে। পিএমএল-এন ৬৬ আসনে এবং পিপিপি ৪৩ আসনে এগিয়ে। এছাড়া এমকিউএম ৫ আসনে ও এমএমএ ৯ আসনে এগিয়ে।

আংশিক ফলাফলের ভিত্তিতে ইমরান খানের দল পিটিআই জয়োল্লাসে মেতে উঠলেও ভোটের প্রাথমিক এ ফল মেনে নিতে নারাজ নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন। পিএমএল-এন ইতিমধ্যেই ভোট গণনা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের অভিযোগ, তাদের দলীয় এজেন্টকে বেশ কিছু জায়গায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, একই অভিযোগ তুলেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বিলাওয়াল ভুট্টো। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

যদিও পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এর আগে ২০১৩-র নির্বাচনে জিতেছিল পিএমএল-এন। তারা পেয়েছিল ১২৬টি আসন। আর পিটিআই মাত্র ২৮টি আসন পেয়েছিল।

৬৫ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান গতবারের ভোটের পর থেকে দেশজুড়ে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। তার জেরে নওয়াজ শরিফকে মসনদ হারাতে হয়। এবার ইমরানের সঙ্গে পাকিস্তানের সর্বশক্তিমান সেনাবাহিনীরও সমর্থন রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সেনাবাহিনীর হয়ে ভোটে লড়ছেন তিনিই। মৌলবাদীদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ইমরান কট্টরপন্থীদের সঙ্গে আলোচনার পক্ষপাতী।