জেলায় আজ ঈশ্বরদী উপজেলার শ্যালোইঞ্জিন-চালিত ভুডভুডি চালক আবু বক্কার মন্ডল (৩৫) হত্যা মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে এ মামলায় দুইজনকে তিনবছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান আজ বুধবার বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার চরমিরকামারি গ্রামের নুরুর ছেলে রব্বেল হোসেন (৪০) ও মুশুরিয়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে রুবেল হোসেন (৩০)। অন্যদিকে, কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম (৩০) ও শিপন হোসেন (৩২)। রাব্বি হোসেন নামের একজনকে বেকুসুর খালাস দেয়া হয়। হত্যাকান্ডের শিকার শ্যালোইঞ্জিন-চালিত ভুডভুডি চালক আবু বক্কার মন্ডল একই উপজেলার চরমিরকামারি গ্রামের ছকির মন্ডলের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৪ এপ্রিল রাতে ভুডভুডি গাড়ি ভাড়ার করার কথা বলে ভুডভুডির চালক বক্কার মন্ডলকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে হত্যার পর মরদেহ ঈশ্বরদী ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের পাশে একটি জঙ্গলে ফেলে ভুডভুডি গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় নিহত বক্কারের স্ত্রী সুমিতা বেগম বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তকালে পুলিশের অভিযানে আটক রব্বেল, রুবেল, রফিকুল ও শিপনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ বুধবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান অভিযুক্ত আসামীদের মধ্যে রব্বেল ও রুবেল হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত থাকায় তাদেরকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন।
এছাড়া রফিকুল ও শিপনকে তিনবছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং রাব্বি নামের একজনকে বেকুসুর খালাস দেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজাপ্রাপ্তদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) এডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন এবং আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ রিন্টু ও এডভোকেট তোরাপ আলী। তথ্য-বাসস
আজকের বাজার/আখনূর রহমান