গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নেয়া ও ২০১৬ সালের সংসদীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী বাছাইয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাইয়ের আট বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুলাই) সিউলের সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট এ রায় দিয়েছেন।
এর আগে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অভিশংসিত হওয়া পার্ক এখন ২৪ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তার সঙ্গে নতুন করে যোগ হল আট বছরের কারাদণ্ড।
গোয়েন্দাদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ায় ছয় বছর ও সংসদীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী বাছাইয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে দুই বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।
৬৬ বছর বয়সী পার্ক তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সাবেক সেনাশাসক পার্ক চুং-হির মেয়ে পার্ক জিউন-হাই ২০১৩ দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন।
ব্যক্তিগত লাভের জন্য বন্ধুকে অবৈধ সুবিধা পাইয়ে দিতে তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাব ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে পার্লামেন্ট ও রাজপথে পার্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
ওই বছর ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি করে পার্ককে অভিশংসনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর গতবছর মার্চে দেশটির সাংবিধানিক আদালত সেই সিদ্ধান্তে সায় দিলে পার্ককে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে যেতে হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।
জ্যেষ্ঠ বিচারক সিওং চ্যাং হো বলেন, তিনজন এনআইএস প্রধানের কাছ থেকে তিন বছরে তিন বিলিয়ন উয়ন গ্রহণ করেছেন। এতে করে দেশে রাজস্বে উল্লেখযোগ্য ক্ষতিসাধন করেছেন।
ধারাবাহিকভাবে এ শাস্তি কার্যকর করা হিসেবে। সে হিসেবে তাকে ৩২ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এসএম/