পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে মালদ্বীপ নিরাপত্তা বাহিনী

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই বিরোধীদলীয় পার্লামেন্ট মেম্বারকে (এমপি)। কারাবন্দি রাজনীতিকদের মুক্তি দিতে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামীনের অস্বীকৃতিতে সৃষ্ট সংকটের মধ্যে এ ঘটনা ঘটল। খবর: আলজাজিরা।

নয় ব্যক্তির সাজা বাতিল করে দেয়া সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় অ্যাটর্নি জেনারেলকে অপসারণের জন্য পার্লামেন্টে পিটিশন আনে বিরোধী দল। এসময় দাঙ্গা দমনের প্রস্তুতি নিয়ে রাজধানী মালে’র পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে ফেলে সেনারা।

সাজা বাতিল করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- নির্বাসনে থাকা দেশটির সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ নাশীদ, সাবেক এক ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাবেক এক প্রতিরক্ষামন্ত্রী, একজন বিচারক এবং সাবেক এক চিফ প্রসিকিউটর।

এছাড়া দেশটির সর্বোচ্চ আদালত গত বছর পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কার হওয়া ১২ এমপির পদ পুনর্বহাল করে। এতে ৮৫ সদস্যের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বিরোধী দল।

রায়ের পর নাশীদ এক টুইট বার্তায় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামীনকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে ইয়ামীনকে পদত্যাগের আহ্বান জানায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে নাশীদ প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মালদ্বীপে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। ২০১৫ সালে নাশিদকে অভিযুক্ত করা হয় এবং ১৩ বছরের জেল হয়। তারপর থেকেই তিনি ব্রিটেনে নির্বাসিত আছেন।

আজকের বাজার : সালি / ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮