সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রোগীই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। শিশু, মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্ক, ধূমপায়ীরা এবং প্রাক্তন ধূমপায়ীরাও বিভিন্ন কারণে পালমোনারি ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হতে পারেন।
পালমোনারি ফাইব্রোসিসের লক্ষণ
* শ্বাসকষ্ট
* ওজন হ্রাস
* ক্লান্তি
* শুষ্ক কাশি
* অব্যক্ত ওজন হ্রাস
* পেশিতে টান
* আঙুল বা পায়ের আঙ্গুলের ডগা গোলাকার হয়ে যাওয়া।
কী কারণে পালমোনারি ফাইব্রোসিস হয়?
এটি হলে ফুসফুসের বায়ু থলির (অ্যালভিওলি) চারপাশে এবং মাঝের টিস্যুতে পুরু দাগ দেখা যায়। এভাবে, অক্সিজেন সরবরাহ হ্রাসের কারণে সঠিকভাবে শ্বাস নিতে পারবেন না। কিছুক্ষেত্রে টক্সিন, চিকিৎসা, রেডিয়েশন থেরাপি, এবং কিছু ওষুধ ফুসফুসের ক্ষতির জন্য দায়ি হতে পারে। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে এবং তারপরে করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে এটি একটি সাধারণ ঘটনা।
পালমোনারি ফাইব্রোসিসের চিকিৎসা
প্রাথমিক পর্যায়ে দ্রুত চিকিৎসাই এই রোগ মোকাবিলা করার শ্রেষ্ঠ চাবিকাঠি। পরীক্ষা করার পর, চিকিৎসক চিকিৎসার লাইন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন। অ্যান্টিবায়োটিক, কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধ, অ্যান্টিফাইব্রোটিকস বা অন্যান্য ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।
পালমোনারি ফাইব্রোসিস নিয়ন্ত্রণ করার টিপস
নিয়মিত ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান এড়িয়ে চলার মতো অভ্যাসই এই রোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে।
* ফুসফুসের সহনশীলতা বাড়াতে প্রতিদিন ব্যায়াম করুন।
* ফুসফুসের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম অনুশীলন করুন।
* পুষ্টি সংক্রান্ত পরামর্শ এবং সহায়তার জন্য পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
* ধূমপান করবেন না।
* দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় তাজা ফল, গোটা শস্য এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য যোগ করুন।
* চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান। নিজে নিজে ওষুধ খেতে যাবেন না।