পাসপোর্ট করার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় শতকরা ৭৫ দশমিক ৩ জন গ্রাহকেরই ঘুষ দিতে হয়। ২১ আগস্ট সোমবার ‘পাসপোর্ট সেবায় সুশাসন: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক নিজস্ব এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ(টিআইবি)। রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে টিআইবির মিলনায়তনে গবেষক শাহনূর রহমান গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, সাবেক চেয়ারপারসন এম হাফিজ উদ্দিন খান প্রমুখ। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এই গবেষণা কার্যক্রম চালায়। প্রতিটি বিভাগে জেলা পর্যায়ে মোট ১ হাজার ৪৫৩ জন জরিপে অংশ নেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জরিপে অংশ নেওয়া সেবাগ্রহীতাদের ৫৫ দশমিক ২ শতাংশ অনিয়ম, হয়রানি ও দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ পাসপোর্ট করার সময় দালাল বা অন্যান্যের সাহায্য নিয়েছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ দালালের সহযোগিতা নিয়েছে। এই সহযোগিতা নেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি সিলেটে। এই সংখ্যা ৬০ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম রাজশাহীতে; ২০ শতাংশ।
জরিপে দেখা গেছে, পাসপোর্ট অফিস থেকে দেওয়া স্লিপে উল্লেখ করা নির্ধারিত সময়ে অনেকেই পাসপোর্ট পাচ্ছেন না। ২৭ শতাংশ গ্রাহক বলেছেন, তাদের ১২ দিন বেশি সময় লেগেছ। ২০১৫ সালের তুলনায় দুর্নীতি কিছুটা কমেছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনে পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে পুলিশি ছাড়পত্র এবং সত্যায়ন ও প্রত্যয়ন বিধান বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
আজকের বাজার: এমএম/ ২১ আগস্ট ২০১৭