পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

পাস্তুরিত দুধ নিরাপদ কি না তা পরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

খাদ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিএসটিআইর (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তদন্ত কমিটি করে এই রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২১ মে) এক রিট আবেদনের ফলে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ ছাড়া আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) যে রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেই রিপোর্টও আদালতে এক মাসের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে।।

স্বাস্থ্য সচিব, খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিএসটিআইর মহাপরিচালক, আইসিডিডিআরবি এবং পুলিশ মহাপরিদর্শককে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৭ জুন নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।

গত ১৭ মে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত ‘পাস্তুরিত দুধের ৭৫ শতাংশই নিরাপদ নয়’, আইসিডিডিআরবির প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এই রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ এ রিট দায়ের করেন। আদালতে তিনি নিজেই শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু সাঈদ, মো. সেলিম আসিফ পারভেজ ও মো. হানিফ।

পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাজারে পাওয়া যায় এমন পাস্তুরিত দুধের ৭৫ শতাংশ অনিরাপদ। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন কোম্পানির দুধের নমুনা পরীক্ষা করে তাতে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া পেয়েছেন। তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন, মানুষ যেন দুধ কেনার পর ফুটিয়ে পান করেন।

আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানীরা দেশের ৪৩৮টি কাঁচা দুধের নমুনা এবং বাণিজ্যিকভাবে প্রক্রিয়াজাত দুধের ৯৫টি নমুনা সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করেন। এই গবেষণা ফল গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ফুড মাইক্রোবায়োলজিতে ছাপা হয়েছে। শিশুদের পুষ্টির প্রাথমিক উৎস এই দুধ নিয়ে গবেষণা ফলাফলকে আইসিডিডিআরবি ‘অপ্রীতিকর’ বলে বর্ণনা করেছে।

আরজেড/