পিঠে ও কোমরে ব্যাথা! অস্টিওপোরোসিস নয় তো?

মাঝে মাঝে পিঠে বা কোমরে ব্যাথা অনুভব হলে অনেকেই ব্যাপারটাকে স্বাভাবিক মনে করে । অনেকেই ব্যাপারটাকে অবহেলা করেনেএ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজনও মনে করেন না। কে বলতে পারে এই ব্যাথাই হয়তো অস্টিওপোরোসিস।

অস্টিওপোরোসিস হাড়ের একটি বিশেষ রোগ। মহিলাদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি। এই রোগ প্রতিরোধ করতে অবশ্যই সাবধান হওয়া জরুরী।

চলুন জেনে নেই  অস্টিওপোরোসিস -এর লক্ষণ  সম্পর্কে  :

অস্টিওপোরোসিস

অস্টিওপোরোসিস নিঃশব্দে ক্ষতি করে। তাই প্রথম থেকে লক্ষণ বোঝা মুশকিল। তাই সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। ঘন ঘন পিঠে ব্যথা হলে, পেশিতে যন্ত্রণা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দাঁতে ক্ষত হলে কিংবা কম সময়ের ভেতর অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে গেলে সতর্ক হওয়া উচিত। বিশেষ করে শিরদাঁড়ায় আকারগত পরিবর্তন হলে বা ব্যাথা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

যাদের অস্টিওপোরোসিস-এর ঝুঁকি বেশি

১) যাদের বয়স ৪০ এর বেশি তাদের অস্টিওপোরোসিস হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের মেনোপজের পর শরীর থেকে ইস্ত্রোজেন হরমোন কম নিঃসৃত হয়। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন এই অসুখ হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

২) পরিবারে কারও, বিশেষ করে মায়ের যদি এই রোগ থাকে তাহলে এই অসুখ হবার সম্ভাবনা থাকে। যারা রোদে কম বের হন তাদেরও এই অসুখ হতে পারে।

৩) রোগা ও কম উচ্চতার মহিলাদের শরীরের হাড় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুর্বল হয়। ফলে অস্টিওপোরোসিস হবার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

৪) যারা ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণ করে তাদের এই রোগ হতে পারে। কারণ, ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল শরীর থেকে ক্যালসিয়াম কমিয়ে দেয়। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে।

অস্টিওপোরোসিস হলে যা করবেন:

১) পায়ের পাতা, হিপ বোন বা মেরুদণ্ডে ব্যাথা হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২) সামান্য ব্যথা হলেও  অবহেলা করবেন না।

৩) চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ভিটামিন–ডি ও ক্যালসিয়াম খান।

৪) নিয়মিত শরীর চর্চা করুন।

৫) খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি, ফল, ডাল, দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার রাখুন।

আজকের বাজার/এসএম