পিরোজপুরে বিদ্যুতের গ্রীড সাব-স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে

জেলার মানুষের বহু আকাঙ্খিত বিদ্যুতের গ্রীড সাব-স্টেশন নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের কদমতলা এলাকায় এ সাব-স্টেশন নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম ফেইজে পিরোজপুরের গ্রীড সাব-স্টেশন নির্মাণ হচ্ছে। এ গ্রীড সাব-স্টেশনটি চালু হলে পিরোজপুর সরাসরি জাতীয় গ্রীডের সাথে সংযুক্ত হবে।
গত ৬০ বছর ধরে পিরোজপুরে বাগেরহাট থেকে ৩৩ কেভি লাইনে বিদ্যুত সরবরাহ হওয়ায় গ্রাহকরা পর্যাপ্ত পরিমানে ভোল্টেজ পাচ্ছিল না। এছাড়া ছোট-বড় শিল্প কারখানায়ও ক্ষমতা কম থাকায় বিদ্যুত সংযোগ দেওয়ার সুযোগ একেবারেই সীমিত ছিল। জাতীয় গ্রীডের সাথে পিরোজপুর সংযুক্ত হলে ১৩২ কেভি লাইনে পিরোজপুরে বিদ্যুত আসবে এবং সব ধরনের সমস্যা দূর হবে। পিরোজপুরের ওজোপাডিকো এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ খালিদ খান জানান, সামান্য ঝড় বাতাস হলেও বাগেরহাট- পিরোজপুর সরবরাহ লাইনে সমস্যার সৃষ্টি হয়ে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় গ্রীডের সাথে পিরোজপুর সংযুক্ত হলে এ সমস্যার সমাধান হবে এবং পিরোজপুরের বিদ্যুত সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, পিরোজপুর- নাজিরপুর সড়কের কদমতলা এলাকায় গ্রীড সাব-স্টেশন স্থাপনের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তর। পাওয়ার গ্রীড কোম্পানীর প্রধান প্রকৌশলী সরফুদ্দিন আহমেদ আশা প্রকাশ করে বলেন ,২০২৩ সালের মধ্যে পিরোজপুরে এ গ্রীড সাব-স্টেশন চালু করা সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, পিরোজপুরে বিদ্যুতের গ্রীড সাব-স্টেশন নির্মাণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এ গ্রীড সাব-স্টেশন থেকে ওজোপাডিকো এবং পল্লী বিদ্যুত সমিতি সরাসরি বিদ্যুত নিতে পারবে। তাদের আর বাগেরহাটের উপর নির্ভর করতে হবে না। পিরোজপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনিরুজ্জামান নাছিম আলী জানান, গত অর্ধশত বছরের বিদ্যুতের বিড়ম্বনা থেকে পিরোজপুরের মানুষ এবার মুক্ত হতে যাচ্ছে। ২০০৭ সালের সুপার সাইক্লোন সিডরের পর জেলা শহর পিরোজপুরে একটানা ১৭ দিন বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ ছিল। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন কারণে প্রায়শঃ পিরোজপুর- বাগেরহাট বিদ্যুত সরবরাহ লাইনে ত্রুটির সৃষ্টি হয়ে সরবরাহ বন্ধ থাকে।