পুঁজিবাজারে দুই সুখবর দিয়ে শুরু হচ্ছে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারের লেনদেন। সুখবর দুইটি হলো চীনা কনসোর্টিয়ামকে বেছে নেওয়া প্রস্তাব বিএসইতে জমা ও ব্যাংকের ঋণ-আমানত অনুপাত বা এডিআর এর সময় বাড়ানো।
সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে দর পতনের মূল কারণ হিসেবে এ দুটি বিষয়কেই প্রধান মনে করেছিলেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা।
এর মধ্যে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চীনা কনসোর্টিয়ামকে বেছে নেওয়ার প্রস্তাব পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) জমা দিয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধের মূদ্রানীতি ঘোষণার সময় ব্যাংকের ঋণ-আমানত অনুপাত বা এডিআর যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। এই অনুপাত কমিয়ে আনার জন্য তখন ব্যাংকগুলোকে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময় দেওয়ার ঘোষণা দেন গভর্নর।
তবে গত ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে জানানো হয়েছে, এডিআর কমিয়ে আনার জন্য আরও বেশি সময় পাচ্ছে ব্যাংকগুলো। সার্কুলারে বলা হয়েছে, এডিআর অনুপাত কমিয়ে আনতে জুনের পরিবর্তে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাচ্ছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত প্রচলিত ধারার ব্যাংকের জন্য অগ্রিম-আমানত হার সর্বোচ্চ ৮৩.৫০ শতাংশ এবং ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংক এবং প্রচলিত ধারার ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য বিনিয়োগ-আমানত হার সর্বোচ্চ ৮৯.০ শতাংশতে নির্ধারণপূর্বক যে সব ব্যাংকের অগ্রিম-আমানত হার/বিনিয়োগ-আমানত হার বর্ণিত সীমার বেশি রয়েছে সে সব ব্যাংক-কে ৩০ জুনের মধ্যে ক্রমান্বয়ে তা নির্ধারিত মাত্রায় আবশ্যিকভাবে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশনার আংশিক পরিবর্তনক্রমে পরিপালনের সময়সীমা ৩০ জুনের পরিবর্তে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণ করা হলো।
মূলত ব্যাংকগুলো গ্রাহকের আমানত নিয়েই ঋণ বিতরণ করে। এতে সাধারণ ধারার ব্যাংক ১০০ টাকা আমানত সংগ্রহ করলে; তার সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করতে পারে। এক্ষেত্রে ইসলামী ধারার ব্যাংক আরও ৫ টাকা বাড়িয়ে ৯০ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারে। তবে সম্প্রতি বেশিভাগ বেসরকারি ব্যাংকেরই এডিআর সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এতে ওই সব ব্যাংক ১০০ টাকার মধ্যে ৯০ টাকাই ঋণ বিরতণ করছে। এতেই সৃষ্টি হয়েছে তারল্য বা নগদ টাকার সংকট।
আরএম/