প্রাক-বাজেট আলোচনায় পুঁজিবাজার নিয়ে অনেক আশার কথা শুনিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। কর্পোরেট কর কমানো, ডাবল ট্যাক্সের ফাইনাল সেটেলমেন্টসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। তবে বাজেট ঘোষণার দিন সব আশ্বাস ফিকে হয়ে গেল। প্রত্যক্ষভাবে কিছুই পেল না পুঁজিবাজার। তবে পরোক্ষভাবে ইতিবাচক বাজারের ইংগিত এসেছে।
১ জুন বৃহস্পতিবার সংসদে আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। তাতে পুঁজিবাজারের জন্য পরোক্ষভাবে বরাদ্দ রেখেছেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হলো পোশাক শিল্পে আয় কর কমানো, ওষুধের কাঁচামালে শুল্ক হ্রাস ও প্রযুক্তি খাত প্রসারে ইতিবাচক উদ্যোগ।
অন্যদিকে অতালিকাভুক্ত ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর এবং সিগারেট কোম্পানির করপোরেট করহার ভবিষ্যতে কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে গুটিকয়েক খাতের কোম্পানিগুলোর করহার ৪০ শতাংশের বেশি (সাড়ে ৪২ শতাংশ থেকে ৪৫ শতাংশ)। ভবিষ্যতে তা পর্যায়ক্রমে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করার পরিকল্পনা আছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রায়শই বলি আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক করহার অনেক বেশি। তবে গভীরভাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এ তথ্য ঠিক নয়। বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক করহার ২৫ শতাংশ, যা বৈশ্বিক গড় প্রাতিষ্ঠানিক করহার ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশের সঙ্গে প্রতিযোগিতাপূর্ণ। রাজস্ব আয়ের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং ক্রম-প্রবৃদ্ধির প্রয়োজন থাকলেও আমরা এবার কোনো খাতেই করহার বাড়াচ্ছি না।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহার ৩৫ শতাংশ। আরও কোম্পানিকে পুঁজিবাজারমুখী হতে উৎসাহিত করতে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করহারে এ ব্যবধান রাখা হয়েছে।
বাজেট প্রস্তাবে পুঁজিবাজার ইস্যুতে তিনি জানান, নতুন কোম্পানির মূলধনের চাহিদা মেটাতে বিকল্প বিনিয়োগ বিধিমালা করা হয়েছে। এ ধরনের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে এ খাতের বিনিয়োগে কর অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন তিনি। স্বল্প ও মাঝারি শিল্পের কোম্পানির জন্য স্মল ক্যাপ প্লাটফর্ম নামে পৃথক লেনদেন ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ ধরনের কোম্পানির মূলধন সংগ্রহের জন্য নতুন বিধিমালা করা হয়েছে।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ২ জুন ২০১৭