পুঁজিবাজার উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ে সিএসইর ৭ বছরের পরিকল্পনা

পুঁজিবাজারকে আরও গতিশীল করতে সরকারের কাছে ৭ বছরের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জ (সিএসই)। অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০১৬-১৭ সালের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি এ ৭ বছরে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও উদীয়মান কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজার হতে মূলধন সংগ্রহের সুবিধা নিশ্চিত করতে চায়। সেইসঙ্গে কোম্পানিগুলোর জন্য স্মলক্যাপ বোর্ড গঠন করবে।

অন্যান্য পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বাজারে ডেরিভেটিভস প্রোডাক্টস আনা, কমোডিটি একচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা, ইন্টারনেট ট্রেডিং সার্ভিস অধিকতর জনপ্রিয় করা; দেশ বিদেশের বিভিন্ন কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ করা; ক্লিয়ারিং কোম্পানির ব্যবহার করার পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

এছাড়া আলোচ্য সময়ের মধ্যে সিএসই ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সেইসঙ্গে চীন, ভারত ও মিয়ানমারের পুঁজিবাজারের সঙ্গেও কাজ করবে।

প্রতিবেদনে সিএসইর গত ৫ বছরের অর্জন চিত্র তুলে ধরা হয়।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর নেক্সট জেনারেশন ট্রেডিং সিস্টেম চালু করা; ২০১৫ সালে ৮ ও ৯ অক্টোবর চট্টগ্রামে পুঁজিবাজার মেলার আয়োজন; লেনদেন সহজ ও গতিশীল করতে ২০১১ সালে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (ইএফটিএন) চালু; সিএসইর ডিজাস্টার রিকভারি সিস্টেম (ডিআরএস) চালু; ই-লাইব্রেরী ও নতুন ওয়েবসাইট চালু; শরীয়াহ ইনডেক্স ও বেঞ্চমার্ক ইনডেক্স চালু; ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক একচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা; জাতিসংঘের সাসটেনেবল স্টক একচেঞ্জে অন্তর্ভূক্তি।

উল্লেখ, সিএসই ১৯৯৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশের মূলধনবাজারকে সক্রিয় করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

সূত্র:অর্থ সূচক

আজকের বাজার : এলকে /এলকে ৬ জুন ২০১৭