পুলিশের বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজানের সাজা বাড়ানো প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

ঘুষ লেনদেনের মামলায় তিন বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত পুলিশের বরখাস্তকৃত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের সাজা কেন বৃদ্ধি করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। তার সাজা বাড়াতে দুদকের আনা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম ঘুষ লেনদেনের এ মামলায় রায় দেন। রায়ে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাছিরকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দন্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দন্ডবিধির ১৬৫ (এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদন্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এরপর সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মিজানুর রহমান ও খন্দকার এনামুল বাছির। এছাড়া মিজানুর রহমানকে অর্থ পাচার আইনে খালাসের বিরুদ্ধেও আপিল করে দুদক।

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বাসস’কে বলেন, দন্ড বিধি অনুসারে মিজানুর রহমানকে ৩ বছরের সাজা দিয়েছেন। কিন্তু দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় তাকে সাজা দেয়া হয়নি। এ ধারায় ৭ বছরের সাজা আছে। তাই দুদক সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আবেদন করে। আজ শুনানি নিয়ে আদালত সাজা বৃদ্ধি বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করে আদেশ দিয়েছেন।

৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের একই কর্মকর্তা। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান