বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পেছনে কোন প্রকার সিন্ডিকেট কাজ করেনি।
তিনি মঙ্গলবার সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, ‘পেঁয়াজের উৎপাদন, আমদানী ও বিপণন ব্যবস্থায় কোন প্রকার সিন্ডিকেট কাজ করেনি।’
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২২ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন। স্থানীয় উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াজাতকরণ ঘাটতি বাদে প্রায় ১৭ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে। চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের উৎপাদন ঘাটতি প্রায় ৭ লাখ মেট্রিক টন। এই ঘাটতি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানীর মূল উৎস হচ্ছে ভারত। মে-জুন মাসে ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী উত্তর প্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে অনাকাঙ্খিত বন্যার কারণে উৎপাদন তিগ্রস্ত হওয়ায় পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পায়। ফলে পেঁয়াজ রপ্তানীকারক দেশ ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানীমূল্য ৮৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে। এই মূল্যে বাংলাদেশী আমদানীকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পায়।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশেও এ বছর দীর্ঘমেয়াদী বন্যার কারণে পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকায় স্থানীয়ভাবে মজুদ করা পেঁয়াজের একটি বৃহৎ অংশ নষ্ট হয়ে যায়, যা স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
আজকের বাজার: ওএফ/ ৩০ জানুয়ারি ২০১৮