নিত্যপণ্যের অন্যতম পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সরকার। পেঁয়াজের দাম কমিয়ে আনতে তাই বিকল্প উৎস থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার কথা ভাবছে সরকার।
ভারতের বাইরে মিশর, থাই্যল্যান্ড এবং চায়না থেকে জরুরি ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দিয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়। ৩০ অক্টোবর সোমবার সচিবালয়ে পেঁয়ারজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় বলা হয়, অধিক মুনাফার আশায় অনেক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ মজুদ করেছেন, যা দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এজন্য মজুদকৃত পেঁয়াজ বাজারে নিয়ে আসতে মনিটরিং ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার মনিটরিং করবে।
পেঁয়াজের প্রধান সোর্সিং দেশ হচ্ছে ভারত। বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ভারত এবং বাংলাদেশে এবার পেঁয়াজের উৎপাদন মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে পেঁয়াজের দাম চড়া। এজন্য বিকল্প সোর্স থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানান বৈঠকের সভাপতি অতিরিক্ত সচিব শামীমা ইয়াসমিন (এনডিসি)।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এখন দাম যাতে কমে আসে সেই পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে। সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে পেঁয়াজের দাম আর বাড়বে না।
খুচরা বাজারে প্রতিকেজি আমদানিকৃত ভারতীয় পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬২ টাকা এবং দেশীয় জাতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে জাত ও মানভেদে ৭৫-৮৫ টাকায়। অথচ গত বছর অক্টোবর মাসের এই সময়ে ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০-৩৬ টাকায়। দাম বৃদ্ধির হার গড়ে প্রায় ১৩০ শতাংশ পর্যন্ত।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাস আগে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা, যা বর্তমানে ৫৮-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশ। এক মাস আগে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০-৪৫ টাকা। এখন তা সর্বোচ্চ ৭৫-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে এক মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৩০ অক্টোবর ২০১৭