যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বুধবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের জবাবে চীনের সামরিক মহড়াকে দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিহিত করে পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। খবর এএফপি’র।
ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, ‘আমরা মনে করি যে এ ক্ষেত্রে চীন একেবারে দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করছে।’
পেলোসির গণতান্ত্রিক স্বায়ত্বশাসিত দ্বীপ দেশ তাইওয়ান সফরের জবাবে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বেইজিং বুধবার দেশটির চারদিকে সামরিক মহড়া শুরু করে। চীন তাইওয়ান দ্বীপকে তাদের ভূখন্ডের অংশ বিবেচনা করে।
সুলিভান বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর অংশগ্রহণে ধারাবাহিক মহড়া শুরু হওয়ায় কতিপয় ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। ধারাবাহিক মহড়া চালানোর ক্ষেত্রে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, সরাসরি গুলিবর্ষণ, আকাশ পথে যুদ্ধবিমান এবং নৌ পথে যুদ্ধজাহাজ মহড়া চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা প্রশোমনে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানান।
চীনের সরকারি নাম পিপলস রিপাবলিক অব চায়না ব্যবহার করে সুলিভান বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে উত্তেজনা এড়াতে আমরা পিআরসি’র দায়িত্বশীল কার্যক্রম প্রত্যাশা করছি। কেননা, এই উত্তেজনার কারণে আকাশ বা সমুদ্র পথে ভুল কিছু ঘটে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সারিতে থাকা পেলোসি বুধবার সকালে তাইওয়ান ত্যাগ করেন। বেইজিং তার সফরকে একটি বড় হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে এবং এ সফর থেকে পেলোসিকে বিরত রাখতে চীনের পক্ষ থেকে একের পর এক কঠোর হুমকিও দেয়া হয়।
এদিকে পেলোসির তাইওয়ান ত্যাগের পর দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বুধবার রাতে জানান, চীনের ২৭টি যুদ্ধবিমান এ দ্বীপ রাষ্ট্রের বিমান প্রতিরক্ষা সনাক্তকরণ জোনে (এডিআইজেড) ঢুকে পড়েছিল।
গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বেইজিং তাইওয়ানের এ জোনে সামরিক আগ্রাসন জোরদার করেছে।