আরেক দফা বাড়লো চালের দাম

পেঁয়াজের দর কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা কমলেও মোকামে চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে।গেল ১৫ দিনের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের দাম আরেক দফা বাড়লো। দর সমন্বয় করতে মোটা চালের পাশাপাশি চিকন চালের সরবরাহ ও বিক্রির বিষয়ে জোর দিতে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে আগামীকাল রোববার থেকে খোলা বাজারে ওএমএসে চাল বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। পাইকাররা বলছেন, এই কার্যক্রমের সুফল পেতে চালের বরাদ্দ বাড়াতে হবে ।

বাজারঘুরে দেখা গেলো, মিনিকেট প্রতি কেজি মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৬১ টাকায়, যা দু সপ্তাহ আগেও ছিল ৫২ থেকে ৫৮ টাকা। কেজিতে ২ থেকে তিনটাকা বেড়ে আটাশ ৪৫-৪৭ টাকা, পাইজাম ৪৫ টাকা এবং আমদানি করা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৯-৪১ টাকা কেজি দরে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরমরে শুরুতে অর্থাৎ ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে বাজারে চালের সংকট থাকে।  কেননা এই সময়ে কৃষকদের হাতে ধান থাকে না। চাল হাতবদল হয়ে চলে যায় মিলারদের কাছে। তা্বই বাজার এসময় উর্ধ্বমুখী থাকে।

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রায় তিনমাস পর রোববার থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে নতুন করে চালু হচ্ছে খোলাবাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার যে চালটা ওএমএস-এ দেবে সেটা মোটা চাউল। সাধারণত মিনিকেট, নাজিরশাইলসহ চিকন চাউলগুলো বেশি বিক্রি হয়। আর সরকার যদি মোটা চাউলরে সেই সঙ্গে চিকন চাউল দিলে বাজারটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’

চালের বাজারে আপাতত সুখবর না থাকলেও ঝাঁঝ কমেছে পেঁয়াজের। আমদানি করা পেয়াজের পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫-৭ টাকা পর্যন্ত। রসুন, আদা ও আলুর দামও নিম্নমুখী।

ব্যবসায়ীরা জানান, ‘গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ ছিল ৪২-৪৫ টাকা। তবে কিছুটা কমে সেটা এখন ৩৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে।’

ডালের বাজারে মুগ ছাড়া স্থিতিশীল রয়েছে মসুর, খেসারি, বুট’সহ অন্যান্য ডালের দর। এ সপ্তাহে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে কমেছে ৩-৪টাকা। বেড়েছে চিনির দাম।

তেল ব্যবসায়ী জানান, তেলের বাজার আগের থেকেই কম। এই সপ্তাহে প্রতি ড্রাম প্রতি আরও ২০০ টাকা কমেছে।তবে এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে চিনিতে বস্তায় ৫০ টাকা বেড়েছে।

এমআর/