কোটা সংস্কার

প্রজ্ঞাপনের দাবিতে বিক্ষোভ

সব ধরনের সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে দাবি জানিয়ে আসা আন্দোলনকারীরা এবার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার  পরও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় বিক্ষোভ করছে তারা।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (১৩ মে) সকাল ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। একই সঙ্গে দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল সহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হয়। এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে থাকে।

এগুলো হলো- ‘আর নয় কালক্ষেপণ, এবার চাই প্রজ্ঞাপন, ‘প্রজ্ঞাপনে তালবাহানা, চলবে না চলবে না, ‘দাবি মোদের একটাই, প্রজ্ঞাপন প্রজ্ঞাপন, ‘আমার ভায়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না, ‘লেগেছে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, ইত্যাদি।

বিক্ষোভের শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, সারা বাংলার ছাত্র সমাজ আজ একতাবদ্ধ। তারা তাদের অধিকার নিয়ে রাজপথে। ছাত্র সমাজ কখনও ব্যর্থ হতে পারে না। প্রজ্ঞাপন না নিয়ে তারা ঘরে ফিরবে না।

ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। তবে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভকারীদের পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এর আগে গত ৯ মে বুধবার দুপুরে একই দাবিতে টিএসসিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারীরা।

উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল থেকে টানা পাঁচ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে। পরে ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাসেল/