প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে। বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিষয়ভিত্তিক শাখা বণ্টন না করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।
বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক অনুষ্ঠানে’ এসব কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর বাণী উদ্ধৃত করে শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী প্রজন্মের ভাগ্য শিক্ষকদের ওপর নির্ভর করে। জাতির পিতার এই কথাটা আপনারা মনে রাখবেন। তারা (শিক্ষার্থীরা) যেনো সেভাবেই শিক্ষা পায়। আমাদের ছেলেমেয়েরা মেধাবী। প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে তারা আরও মেধাবী হয়ে গড়ে উঠছে। ভবিষ্যতে দেশটা কীভাবে চলবে তার একটা পরিকল্পনা আমরা রেখে যাচ্ছি। আজকে যারা শিক্ষার্থী, আগামী দিনে তারাই দেশটাকে গড়ে তুলবে।’
পদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘ শিক্ষার মানোন্নয়ে কী কী প্রয়োজন, যা প্রয়োজন আমরা তাই করবো।’
শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের ভূমিকার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। মেরিটাইম ও অ্যারোস্পেস ইউনিভারসিটি করছি। আগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, তাও করেছি। এখন প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেবো। বিজ্ঞান শিক্ষাকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য অনেকগুলো প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কতো ছাত্র-ছাত্রী থাকবে সেটাও ঠিক করে দেওয়া হবে। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে চাই।’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে উচ্চ শিক্ষা কমিশনে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিষয় ভিত্তিক শাখা বণ্টন না করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ নম্বর ও সিজিপিএ প্রাপ্তদের সম্মাননা দিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ১৭২ জন কৃতি শিক্ষার্থীর হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজকের বাজার/এমএইচ