তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর চালের দাম বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত মিল মালিক এবং আড়তদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কেউ ছাড় পাবে না। যারাই চালের দাম বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২ অক্টোবর সোমবার সচিবালয়ে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের (ডিসি ফুড) সঙ্গে বৈঠকের পর খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বিদেশ থেকে চাল আমদানির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হলে মিল মালিক এবং আড়তদারদের খাদ্য বিভাগ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে তিন বছরের শাস্তির মুখোমুখী হতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চাল ও গমের খুচরা, পাইকারি ব্যবসায়ী এবং এ দুটি পণ্যের আমদানিকারকদের (যারা আইন অনুযায়ী লাইসেন্স নেননি) আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।’
‘এ সময়ের মধ্যে কেউ লাইসেন্স না নিলে ১৯৫৬ সালের কন্ট্রোল অব অ্যাসেনশিয়াল কমোডিটির অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মন্ত্রী জানান, ১৯৫৬ সালের কন্ট্রোল অব অ্যাসেনশিয়াল কমোডিটির অ্যাক্ট অনুযায়ী এক মেট্রিক টনের বেশি চাল ও গম ব্যবসায়ীদের খাদ্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু আমাদের কর্মকর্তারা না জেনেই হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক এতদিন এ বিষয়ে সচেতন ছিলেন না।
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন তারা (মাঠ পর্যায়ের খাদ্য কর্মকর্তারা) আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে নিজ নিজ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স নেয়ার জন্য নোটিশ করবেন। আমরা ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত করতে চাই না।’
আগামী সপ্তাহে চালের দাম আরও কমবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চালের দাম এখন সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে চালের দাম আরও কমবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে মিল মালিক এবং আড়তদারদের চালের মজুদ সম্পর্কে ১৫দিন পর পর মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।’
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ২ অক্টোবর ২০১৭