প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রী হচ্ছেন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ

মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য মৎস ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বঙ্গভবনে যাওয়ার ডাক পেয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ফোন করে তাকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যাওয়ার জন্য বলেছেন। সোমবার ১ জানুয়ারি দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রীর পিএস মোহাম্মদ উল্লাহ।

গত ১৬ ডিসেম্বর মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক মারা যাওয়ার পর মন্ত্রীর পদ খালি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আজ দুপুরে আমাকে ফোন করেছিলেন মঙ্গলবার ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার জন্য। জানা গেছে, আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নারায়ন চন্দ্রের শপথ ছাড়াও মন্ত্রিসভায় আরো কিছু রদবদল আসতে পারে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় দফায় সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ন চন্দ্র চন্দকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় দফায় সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন।

নারায়ন চন্দ্র চন্দ খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার উলা গ্রামের বিখ্যাত চন্দ বংশের স্বর্গীয় কালীপদ চন্দের মেঝ ছেলে। ১৯৪৫ সালের ১২ মার্চ তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। তার মা ছিলেন স্বর্গীয়া রেণুকা বালা চন্দ। স্ত্রী ঊষা রানী চন্দ স্কুল শিক্ষিকা। নারায়ন চন্দ্র চন্দ তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক।

শিক্ষাজীবনে উলাগ্রামের পাঠশালায় তার শিক্ষাজীবন শুরু। বান্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। ১৯৬১ সালে ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক্যুলেশন পাশ করেন। ১৯৬৩ সালে দৌলতপুর বিএল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স এবং ১৯৬৭ সালে একই বিষয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নেন।

মাস্টার্সের ফল প্রকাশের আগেই নারায়ন চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়ার সাহস নোয়াকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে এই স্কুল থেকে সর্বপ্রথম শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পায়। ১৯৭৩ সালের ৭ মে ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান।

১৯৭৪ সালে তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ডুমুরিয়ায় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র চালু হয়। এর আগে খুলনা শহরে শিক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা দিতে হত। চাকরিকালীন সময়ে ১৯৭২ সালে তিনি বিএড পাশ করেন। তিনি ২০০৫সালের ১১ মার্চ চাকরী থেকে অবসর নেন।

২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে নারায়ন চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়া-ফুলতলা আসনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে তিনি চারদলীয় জোট প্রার্থীর নিকট পরাজিত হন।

দলের জন্য পরিশ্রমী, নিবেদিতপ্রাণ একজন কর্মী-সংগঠক চন্দ ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার মেয়াদকালে গত ৫ বছরে ডুমুরিয়া ফুলতলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে তিনি ব্যাপক কাজ করেছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃতীয়বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আজকের বাজার: এলকে/ ১ জানুয়ারি ২০১৮