প্রথমবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করল চট্টগ্রাম কাস্টমস

চলতি অর্থবছরের ৪ মাস রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলেও প্রথমবারের মতো নভেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত রাজস্ব আহরণ করে চমক সৃষ্টি করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।

নভেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ৫২ কোটি ৮৫ লাখ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ হয়েছে। যেখানে গত চার মাসে গড়ে ৪০৯ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হয় প্রতিষ্ঠানটির।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বর মাসে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ৮২৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বিপরীতে ৩ হাজার ৮৮২ কোটি ৪১ লাখ টাকার রাজস্ব আহরণ করে। অর্থাৎ নভেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আহরণ করে।

সূত্রমতে চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত কোনো মাসেই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। প্রতি মাসে গড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি ছিল। এ সময়ে মোট ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি ছিল। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ৪০৯ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি ছিল। ২ নভেম্বর ড. একেএম নুরুজ্জামান কমিশনার হিসেবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে যোগদান করেন। এর আগে তিনি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (পূর্ব) কমিশনার ছিলেন। যোগদানের প্রথম মাসেই এনবিআর চেয়ারম্যানের নির্দেশনা, নিপুন কর্মকৌশল ও প্রশাসনিক দক্ষতায় অতিরিক্ত রাজস্ব আহরণ করেন। এর আগে ড. একেএম নুরুজ্জামান পূর্ব কমিশনারেটে ১৫ মাসের কর্মকালীন সময়ে প্রতিমাসে আলাদা আলাদা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং বিদায়ী অর্থবছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেন।

সুশসান প্রতিষ্ঠা, অফিসের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, সাক্ষাত প্রার্থীদের জন্য ই-টোকেন পদ্ধতি চালুসহ নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করে তিনি এনবিআরের প্রশংসা অর্জন করেন। তিনি কমিশনার অব দ্য ইয়ার ও কমিশনার অব দ্য মানথ সম্মাননায় ভূষিত হন।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে জানিয়ে ড. একেএম নুরুজ্জামান বলেন, সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সকলকে আরও মনোযোগী হয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।

তিনি এ অর্জনের জন্য টিম ওয়ার্ককে গুরুত্ব দেওয়া, পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট কার্যক্রমের গভীর মনিটরিং করা, রিকনসিলিয়েশন করা, পণ্যের সঠিক শুল্ক মূল্যায়ন করা, নেট ওয়েট ও গ্রস ওয়েটের ব্যবধান কমানো, বকেয়া আহরণে কঠোর মনিটরিং করা, ইনভেন্ট্রি কার্যক্রম ও রিপোর্ট প্রদান করা, নিলাম ও ধ্বংসযোগ্য পণ্যের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান।

আজকের বাজার: আরআর/ ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭