প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি সংযত থাকবে: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, চলতি অর্থবছরের অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি সংযত ধরনের থাকবে।

মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য এই মুদ্রনীতি ঘোষণা করে তিনি এ কথা বলেন।

মুদ্রনীতিতে অভ্যন্তরিণ ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ এবং বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

এখানে সরকারি খাতে ব্যাংক ঋণের চাহিদা কম থাকার সূত্রে বেসরকারি খাতের ঋণের ওপর উচ্চতর প্রবৃদ্ধি সংকুলানের সুযোগ থাকবে।

ফজলে কবির বলেন, বিগত বছরে ১ অংকে নেমে আসা ব্যাপক মূদ্রার প্রবৃদ্ধি ২০১৯ অর্থবছরে ১২ শতাংশে প্রাক্কলন করা হয়েছে। তবে এই প্রবৃদ্ধি অর্জন নির্ভর করবে প্রধানত বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের চলতি হিসাবে ঘাটতি সহনীয় মাত্রায় বজায় রাখার ওপর। অভ্যন্তরীণ ঋণের ব্যবহার বিলাসী অপ্রয়োজনীয় আমদানি পণ্যের জন্যে না হয়ে প্রকৃত উৎপাদনমুখী , কর্মসংস্থানমুখী খাতে ব্যবহার হতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর এবং বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের নজরদারি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আলোচ্য সময়ে পরিস্থিতি টেকসই বা সাসটেইনেবল করার জন্য আবশ্যিক সংস্কারগুলো দ্রুত সম্পন্ন না করা হলে আর্থিক বাজারে আমানত ও ঋণের সুদহার চাহিদা ও যোগানভিত্তিক পরিবর্তনশীলতা বাধাগ্রস্ত হবে। এতে মধ্যম আয় ও উন্নত অর্থনীতি পর্যায়ে দেশের প্রত্যাশিত উত্তোরণের জন্য প্রয়োজনীয় মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী দেশি-বেদেশি বিনিয়োগ আহরণ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে প্রবৃদ্ধিবান্ধব হওয়ার পরিবর্তে প্রবৃদ্ধি প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়াঁবে।

সংস্কার নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাংকের গর্ভনর বলেন, খেলাপি ঋণ জনিত ব্যয়ভারসহ ব্যাংকের সামগ্রিক পরিচালনা ব্যয়ে দ্রুত হ্রাস এনে আমানত ও ঋণসুদ হারের ব্যবধান বা ইন্টারমেডিয়েশন স্পেডের সংকোচন করা। সরকারি সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার এবং সঙ্গে তুলনীয় মেয়াদী বন্ডের বাজার ইল্ড হার এই দুয়ের মধ্যে যৌক্তিকীকরণ করা এবং সমাগ্রিকভাবে মুল্যস্ফীতি নিম্নমাত্রায় রাখার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

এসময় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররা সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএম/