প্রথম দিনেই ডেঞ্জার জোনের কাছাকাছি বিবিএস ক্যাবলস

পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হুড়াহুড়ি মাতামাতি শুরু হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আবেগ বিনিয়োগের যৌক্তিকতাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

সোমবার ৩১ জুলাই লেনদেন শুরুর প্রথম দিনেই ডেঞ্জার জোনে বা বিপদজনক অবস্থানের কাছাকাছি উঠে এসেছে কোম্পানিটি। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিবিএস ক্যাবলসের শেয়ার দর ৮০০ শতাংশ বেড়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে শেয়ারটির মূল্য আয়-অনুপাত (Price Earning Ratio-PE Ratio) দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।

খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৪০ এর বেশী মূল্য-আয় অনুপাতকে বিপদজনক মনে করে। এই কারণে মার্জিন ঋণের ক্ষেত্রে শেয়ারের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ পিই রেশিও ৪০ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিবিএস ক্যাবলস প্রথম দিনেই ওই সীমার কাছাকাছি উঠে এসেছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বিবিএস ক্যাবলসের শেয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আচরণকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন।

সোমবার ডিএসইতে কোম্পানির মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার শেয়ার। যার বাজার মূল্য ছিল ৯১ কোটি ৪৫ লাখ ২২ হাজার টাকা।

এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন শুরু হয় বিবিএস ক্যাবলসের। কোম্পানিটির ওপেনিং প্রাইস ছিল ৫১ টাকা। এটিই ছিল দিনের সর্বনিম্ন দর।সারাদিনে শেয়ারের দর আর এর নিচে নামেনি। লেনদেনের এক পর্যায়ে শেয়ারটির দর ৯৪ টাকা পর্যন্ত ওঠে। আর কার্যদিবস শেষে সর্বশেষ লেনদেন হয় ৯০ টাকা দরে।

সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সম্পন্ন করা কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ১৭) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এসময়ে আইপিও পূর্ববর্তী শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৬ পয়সা। আইপিও পরবর্তী শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭২ পয়সা।

আর ৯ মাসে (জুলাই,১৬-মার্চ,১৭) কোম্পানির কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২৩ কোটি ৩৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আইপিও পরবর্তী শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৫ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০১৭ তারিখে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য ছিল ১৯ টাকা ২১ পয়সা। কোম্পানিটির অ্যানুয়ালাইজড ইপিএস দাঁড়ায় ২ টাকা ৬০ পয়সা।

আজকের বাজার: আরআর/ ০১ আগস্ট ২০১৭