প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ যোগ্যতায় এখন বিশ্ব নেতা : আবুল কালাম আজাদ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মানুষের কল্যাণে কাজ করে নিজ যোগ্যতা বলে এখন বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছেন।

মহান স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এ কথা বলেন।

জেলা পৌর এলাকার মসজিদ রোডস্থ এ মালেক কনভেনশন সেন্টারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন এই সমাবেশের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন- আজ সাংবাদিক সমাবেশে আপনারা অপসাংবাদিকতা থেকে মুক্তি চাই বলে দাবি করেছেন। আর আমি তার সঙ্গে যোগ করবো অপসাংবাদিকতা বন্ধের পাশপাশি অপসংস্কৃতি, অপরাজনীতি থেকে আমরাও মুক্তি পেতে চাই। অপসাংবাদিকতা রোধে প্রকৃত সাংবাদিকদের একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা অসম্প্রাদায়িক চেতনার বাংলাদেশ চাই। মানুষের কল্যাণে সাংবাদিকদের কাজ করতে হবে। কোন ভাবেই মাথা বিক্রি করা যাবে না। স্বাধীনতার শক্তির বাহিরে যাওয়া যাবে না। স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে কোন ভাবেই প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।

বাসসের প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন- বঙ্গবন্ধু মহাপুরুষ। শেখ হাসিনা মহাশক্তি। তিনি অপশক্তিকে নিভৃত করে, স্থিতিশীলতা বজায় রেখে বাংলাদেশকে উচ্চ শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন, যা অতুলনীয়, অপূর্ব। সাংবাদিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় নিয়ে যাচ্ছেন।

এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নিয়ে তার বক্তব্যে তিনি বলেন- এই জেলায় মুক্তবুদ্ধি চিন্তার মানুষের সমাবেশ দেখি। আবার হেফাজতকারীদের দেখি প্রেস ক্লাবে তান্ডব চালাতে। এতে মনে কষ্ট ও দুঃখ পেয়ে থাকি।

ইউরোপের একটি জরিপের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে গণমাধ্যমের উপর মানুষের আস্থা আজ কমে গেছে। মানুষ এখন আর গণমাধ্যমকে বিশ্বাস করে না। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, ইউরোপে জরিপ চালিয়ে জানা গেছে। ইউরোপের ১১টি দেশের ৬৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছিল, তারা গণমাধ্যমকে বিশ্বাস করেন না। কারণ এখনকার সংবাদপত্র কারো পক্ষে লিখে, কেউ আজেবাজে লিখে বা মিথ্যা লিখে। সাংবাদিকদের উপর তাদের আস্থা আরো কম।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক। তার বক্তব্যে তিনি বলেন- কোন ভূয়া কিংবা অপসাংবাদিককে প্রশ্রয় দিবে না বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। এসময় তিনি পত্রিকা ডিক্লারেশনের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন যাকে খুশি তাকে পত্রিকা ডিক্লারেশনের দেয়া যাবে না। পত্রিকা ডিক্লারেশনের ক্ষেত্রে তার যোগ্যতা, তার অবস্থান, সে বেতন ভাতাদি দিয়ে নিয়মিত পত্রিকা চালাতে পারবে কি না তা দেখে পত্রিকার ডিকা¬রেশন দিতে হবে।

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব দীপ আজাদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পির সভাপতিত্বে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি মধূসুদন মন্ডল, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, দপ্তর সম্পাদক সেবিকা রাণী, ইউনিয়ন নেতা দীপক কুমার আচার্য্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন।

আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ও আবরণী আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের শিল্পীরা আবৃত্তি করেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান