প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা প্রধান বিচারপতির পদটিকে বারবার বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে এই অভিযোগ করেন তিনি।
নাসিম বলেন,প্রধান বিচারপতির পদটি অত্যন্ত গৌরবান্বিত ও সম্মানজনক। আমরা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে সম্মান করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য তিনি এ পদে এসে পদটিকে বারবার বির্তকিত করার চেষ্টা করেছেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন,তিনি (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) একবার গ্রীক মূর্তি স্থাপন করে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। এরপর ষোড়শ সংশোধনী রায় বাতিল করে এবং পর্যবেক্ষণ দিয়ে গোটা জাতিকে বিক্ষুব্ধ করেছেন। আমরা কেউ আশা করি নাই যে, তিনি এ পদটিকে এভাবে বিতর্কিত করবেন। এখন অসুস্থ হয়েও বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেন,এখনও আমরা বিশ্বাস করি তিনি তাঁর সম্মান নিয়ে অবসরে যাবেন।
বৈঠকে মায়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিয়েও কথা বলেন নাসিম। বলেন, জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া পাঁচ দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতেই নির্যাতিত-নিপিড়ীত রোহিঙ্গারা সসম্মানে তাদের দেশে ফেরত যাবেন। রোহিঙ্গারা আমাদের সাময়িক অতিথি, তাদের অবশ্যই মায়ানমারকে ফেরত নিতে হবে।
১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র বলেন,শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে দেশ একটি ভয়াবহ সংকট থেকে রক্ষা পেয়েছে। একটি মহল লাগামহীনভাবে উস্কানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরি চেষ্টা করেছিল। অনেক সময় তারা বলপ্রয়োগের কথাও বলেছিল। কিন্তু আজকের দুনিয়ায় তা সম্ভব নয়। শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বের কারণে আমরা এই সমস্যার সমাধানের দিকে আছি। সেজন্য আগামী শনিবার বাংলাদেশের কৃতজ্ঞ লাখ লাখ মানুষ শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দিবে। যাতে ১৪ দল অংশ নিবে।
নাসিম বলেন,নির্বাচন কমিশন সংলাপের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ডেকেছেন। সেখানে আমাদের জোটের অংশিদার বিভিন্ন দলও অংশ নিবেন। তবে আমাদের একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে তা হলো নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে এ প্রস্তাবটি সবাই উত্থাপন করবেন।
মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া,ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাসদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, তরিকত ফেড়ারেশনের মহাসচিব এমএ আউয়াল, গণতান্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেনসহ আরো অনেকে।